ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১ জুনঃ(Latest News) জামাই আদরের কথা তো সকলেই শুনেছেন। তবে চোর-কে আদর করে পাত পেরে খাওয়ানোর কথা শুনেছেন ? সাধারণত বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ঘরের সব জিনিস সাফ করে চোর। পাড়ার লোকের হাতে কোনভাবে ধরা পরে গেলে তো হয়েই গেল।ঘটনায় অভিযুক্তকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। বা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার একেবারে অন্য ছবি দেখল গোটা মালবাজার। মারধর তো দূর অস্ত, চোরকে রীতিমতো পাত পেড়ে খাওয়ালেন গৃহস্থ।
বেশ কয়েকদিন ধরেই চোরের উপদ্রব বেড়েছে মালবাজারে। দিন হোক বা রাত। বাড়ি ফাঁকা থাকলেই চুরি হচ্ছে। বেশ কয়েকদিন যাবত এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে মালবাজারে।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় পাল বলেন, বাড়ি ফেরার সময় লক্ষ্য করি এক অচেনা যুবক বস্তা পিঠে নিয়ে বাজারের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। বস্তা প্রচন্ড ভারী থাকার জন্য ঠিকঠাক হাঁটতেও পারছে না।এবং সন্দেহ হওয়ায় যুবকের বস্তা পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করতেই দেখি, বস্তার মধ্যে চুরি করা লোহার তার, বাসনপত্র, ইমিটেশনের অলঙ্কার এবং আমাদের পাড়ার মহিলা জ্যোৎস্না বর্মনের কিছু স্ট্যাম্প সাইজের ফটোও রয়েছে সেখানে।” সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে ধরে জ্যোৎস্না বর্মনের বাড়িতে নিয়ে যাই। জ্যোৎস্না দেবী রান্নার কাজ করেন, তাই সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। সমস্ত ঘটনাটি ফোন করে বলা হয় তাকে।পুলিশের জালে বাইক বাংলাদেশী পাচারকারী
ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি করে বাড়িতে পৌঁছান জ্যোৎস্নাদেবী। কোনোরকম মারধোর করতে নিষেধ করেন ওই মহিলা। উল্টে পাত পেরে খেতে দেন ওই যুবকে। তার খাওয়ার মেনুতে ছিল মাছের ঝোল, কচুর শাক, ডাল, লাউ চিংড়ি। আহঃ!!! এ যেন রাজকীয় পরিবেশন।
এই প্রসঙ্গে জ্যোৎস্না বর্মণ বলেন, এই যুবকের খিদে পেয়েছিল। তা দেখে আমার খাবারই তাকে দিয়ে দিলাম। সে সুস্থ থাকুক। কিন্তু আমার সোনার হার যেন ফিরিয়ে দেয়, তার বাড়ির লোক।” জানা গিয়েছে, খাওয়া-দাওয়া করিয়ে একটি ছোট ঘরে আটকে রাখা হয় ওই যুবকে। জানা গিয়েছে ধৃতের অমর সাহানিক। এই প্রসঙ্গে সাহানি বলে, “আমি এবং আর একজন এই সব এলাকায় লোহা, টিন কুড়োতে এসেছিলাম। আমার সঙ্গে আর একজন যে সঙ্গী ছিল, সে এইসমস্ত কাজ করেছে।” তবে এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, মিথ্যে বলছে ওই যুবক।
ঘটনাটি মজার। কিন্তু জ্যোৎস্নাদেবীর মানবিকতার কথা এখন এলাকার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। (EVM News)