ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ ‘দুয়ারে সরকার’এর পর এবার দুয়ারে ডাক্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নতুন প্রকল্প। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে ডাক্তার’এর কর্মসূচি।তবে আপাতত প্রথম ধাপে এই কর্মসূচি ৩দিনের। প্রথম দিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হাজির হলেন এসএসকেএম হাসপাতালের ৩৪ জন চিকিৎসকের একটি দল।আসলে এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল গ্রামের মানুষকে আরও ভালো ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা।
একদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যখন কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানের প্রকল্প চলছে অন্যদিকে খোদ কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নেফ্রোলজির বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক ডঃ সঞ্জয় দাসগুপ্তের বদলি হওয়ায় বন্ধ থাকবে মেডিক্যাল কলেজের নেফ্রোলজির বহির্বিভাগ।
আর এর ফলে এক চরম ভোগান্তির মুখে পরা রোগীর ঘটনা সামনে উঠে এল। কিডনি জনিত সমস্যার কারণে হুগলি থেকে ৬৫ বছরের এক অসুস্থ ব্যক্তিকে কলকাতা মেডিকাল কলেজে নিয়ে আসছিলেন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে বুধবার তাকে চিকিৎসার জন্য বহির্বিভাগে ডেট দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো তাঁর স্ত্রী অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই ব্যেক্তিকে। কিন্তু হাসপাতালে এস ওনার মাথায় হাত।এসে শুনলেন একমাত্র চিকিৎসক যিনি তার স্বামীর চিকিৎসা করতেন তিনি হঠাৎই এসএসকেএম হাসপাতালে বদলি হওয়ায় মেডিকাল কলেজের এই নেফ্রোলজি বিভাগে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
কোনো উপায় না থাকায় স্বামীকে নিয়ে ফের সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁর স্ত্রী। এরই মাঝে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় স্ত্রী। এইপ্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিবর্ত কোনও চিকিৎসক না আসাতেই এই সমস্যা। পাশাপাশি বুধবার থেকে জেলায় জেলায় ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচি শুরু হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোয়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এই প্রসঙ্গে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টরস’এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, “মেডিকেল কাউন্সিলের নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার শাস্তি হিসাবে শিক্ষক – চিকিৎসক অর্পিতা রয়চৌধুরীকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়। সেই জায়গায় পাঠানো হয় এই মেডিকাল কলেজের নেফ্রোলজি বিভাগের একমাত্র চিকিতসকে।ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এক দিক ঢাকতে গিয়ে অন্যদিক ফাঁকা হয়ে গিয়েছে।“