ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ গরিবের মসিহা বলেই এক ডাকে তাঁকে চেনে একটা বিরাট এলাকার মানুষ। বয়স্কদের কাছে তিনি শুধুই ‘ডাক্তার’। আর বাকিদের কাছে ডাক্তারবাবু। তিনি ডাক্তার ফারুক হোসেন। বয়স ৩৫-এর আশেপাশে। উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালির ন্যাজার্ট থানার বয়ারমারি দু-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তাঁর চেম্বার। বাড়িও সেইখানেই। এমবিবিএস পাশ। ফারুক শৈশবে চরম দারিদ্র দেখেছেন। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহ ছিল অপরিসীম। বাবা ছিলেন দিনমজুর। খুবই অর্থ কষ্ট ছিল পরিবারে। গ্রামের স্কুলেই পড়াশোনা ফারুকের। আর তারপর ২০১২ সালে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন ।
আয়লার প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। সেইসময় মানুষের ভয়ঙ্কর দুরবস্থা নাড়িয়ে দেয় তাঁর মনকে। আর তখন থেকেই শুরু করেন বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা। এরপর ২০১৪ সালে ‘নব দিগন্ত’ নামে নিজের একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই নব দিগন্ত মিশন স্কুলে অনাথ, গরিব, আদিবাসী, স্কুলছুট ছেলেমেয়েদের নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত বিনা পয়সায় পড়ানো হয়। প্রতি শনিবার ওই নব দিগন্ত মিশনেই বিনা মুল্যে রোগী দেখেন তিনি। ওষুধও দেন বিনামূল্যে। করোনাকালেও যা বন্ধ হয়নি। স্থানীয় স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রেশার ও সুগার মাপার কাজ শিখিয়েছেন। শিখিয়েছেন ইসিজি মেশিনের ব্যবহার। যার ফলে এইসব পরিষেবা বিনা পয়সায় পাচ্ছেন ওইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষজন। মেয়েদের স্যানিটারি ন্যপকিন বিতরন করেন বিনা মুল্যে। এই নিঃস্বার্থ ভাবে করে চলা মহৎ কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিও মিলেছে। দুইবছর আগেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তাঁর নাম উঠেছে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মানুষজনের কাছে তিনিই দেবতা।
![প্রয়াগরাজ কুম্ভমেলায় আবার দুর্ঘটনা](https://newsevm.com/wp-content/uploads/2025/02/Untitled-design1075-150x150.png)