kesari chapter 2 akksay kumar

ব্যুরো নিউজ ১৯ জুন: ঐতিহাসিক কোর্টরুম ড্রামা: “কেসরি চ্যাপ্টার ২” একটি ঐতিহাসিক কোর্টরুম ড্রামা হিসাবে পরিচিত, যা ২০১৯ সালের ছবি “কেসরি”-এর একটি আধ্যাত্মিক সিক্যুয়েল।

  • সি. শঙ্করন নায়ারের গল্প: এটি আইনজীবী সি. শঙ্করন নায়ারের জীবনকে কেন্দ্র করে নির্মিত, যিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিশেষ করে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর।
  • অক্ষয় কুমারের ভূমিকা: অক্ষয় কুমার এই ছবিতে সি. শঙ্করন নায়ারের চরিত্রে অভিনয় করছেন। আর. মাধবন তার বিরোধী আইনজীবী এবং অনন্যা পান্ডে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন।
  • কাল্পনিক উপাদান: আপনি যে নিবন্ধটির কথা উল্লেখ করছেন (দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে), সেটি সমালোচনামূলকভাবে উল্লেখ করেছে যে ছবিটি একটি কাল্পনিক আদালতের মামলা তৈরি করেছে যেখানে শঙ্করন নায়ার ব্রিটিশ ক্রাউনের বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য মামলা করেন, যা ইতিহাসে ঘটেনি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ছবিটি ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করেছে।
  • বলিউডে পা রাখতে চলেছেন যশবর্ধন, সুনীতা আহুজার প্রার্থনা!

বলিউডের যৌন অসদাচরণ মোকাবেলা (যেমনটি ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে বলে অভিযোগ)

  • দুর্ঘটনাক্রমে প্রকাশ: উল্লিখিত নিবন্ধটির মূল যুক্তি হলো, “কেসরি চ্যাপ্টার ২” তার ঐতিহাসিক আখ্যান সত্ত্বেও, যৌন অসদাচরণের বিষয়ে “আমাদের সিস্টেম যেভাবে হাস্যকরভাবে কাজ করে” তা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ করে।
  • “ভাইসরয়ের কমিশন” উপমা: নিবন্ধটি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্য চলচ্চিত্রের কাল্পনিক “ভাইসরয়ের কমিশন” এবং #MeToo আন্দোলনের পর বলিউডে গঠিত অভ্যন্তরীণ কমিটির মধ্যে একটি সমান্তরাল টানে।
  • “ক্লিন চিট” এবং পুনরায় নিয়োগ: এটি তুলে ধরে যে #MeToo আন্দোলনে অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে “ক্লিন চিট” দেওয়া হয়েছিল এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় পুনরায় নিয়োগ করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে তাদের কাজগুলি “সুবিধাজনকভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল।”
  • সমস্যাযুক্ত দৃশ্য: নিবন্ধটি “কেসরি চ্যাপ্টার ২”-এর একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যের দিকে ইঙ্গিত করে যেখানে অনন্যা পান্ডের চরিত্র একজন ব্রিটিশ মহিলাকে জেরা করে, যিনি একজন ভারতীয় বিদ্রোহীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। নিবন্ধটি এই দৃশ্যটিকে সমস্যাযুক্ত বলে মনে করে কারণ এটি শেষ পর্যন্ত মহিলাটিকে খারাপ প্রমাণ করে, যদিও তাকে পুরুষ কর্মকর্তাদের দ্বারা অভিযোগ করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল, যা সংবেদনশীল বিষয়গুলি মোকাবেলায় একটি ভুল পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়।
  • “গিল্টি” এর সাথে তুলনা: নিবন্ধটি “কেসরি চ্যাপ্টার ২”-কে নেটফ্লিক্স ফিল্ম “গিল্টি”-এর সাথে তুলনা করে, যেটিকে এটি বলিউডের এমন কয়েকটি উদাহরণের মধ্যে একটি হিসাবে বর্ণনা করে যেখানে #MeToo আন্দোলনকে সরাসরি মোকাবেলা করা হয়েছিল।
  • শিয়ালদহ থেকে চালু হতে চলেছে নতুন এসি লোকাল ট্রেন – জানুন ভাড়া এবং যাত্রার সুবিধা !

অক্ষয় কুমারের #MeToo বিষয়ে অতীতের অবস্থান

  • “হাউসফুল ৪” ঘটনা: এটি লক্ষণীয় যে অক্ষয় কুমার এর আগে #MeToo আন্দোলনের সময় একটি জনসমক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, তার পরিচালক সাজিদ খান এবং সহ-অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের পর “হাউসফুল ৪”-এর শুটিং বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি “প্রমাণিত অপরাধীদের” সাথে কাজ করবেন না।
  • “ঐতরাজ” (২০০৪): যদিও সরাসরি #MeToo-এর সাথে সম্পর্কিত নয়, অক্ষয় কুমার ২০০৪ সালের চলচ্চিত্র “ঐতরাজ”-এও অভিনয় করেছিলেন, যা সেই সময়ে একটি বিরল বলিউড চলচ্চিত্র ছিল যেখানে পুরুষ শিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে যৌন হয়রানি মোকাবেলা করা হয়েছিল।

সংক্ষেপে, আপনি যে নিবন্ধটির কথা বলছেন, সেটি “কেসরি চ্যাপ্টার ২” সম্পর্কে একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাচ্ছে। এটি কেবল ঐতিহাসিক ভুলত্রুটির জন্যই নয়, বরং কীভাবে এটি পদ্ধতিগত অনুসন্ধানের চিত্র তুলে ধরেছে, বিশেষ করে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ জড়িত একটি সমস্যাযুক্ত দৃশ্য, যা বলিউডের নিজস্ব এই ধরনের মামলা পরিচালনার একটি বৃহত্তর, অমীমাংসিত সমস্যাকে প্রতিফলিত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর