ইভিএম নিউজ ব্যুরোঃ টেস্টটিউব বেবির পর কি এবার তবে টেস্টটিউব গরু? চমকপ্রদ জল্পনা উস্কে দিয়েছের চিনের একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের দাবি পদ্ধতিতে তৈরি তাদের এই ‘সুপারকাউ’ নামে-র অভিনব গরু বছরে ১৮ টন এবং সম্পূর্ণ জীবদ্দশায় ১০০ টনেরও বেশি দুধ দিতে সক্ষম হবে। আর সেটা হলে, আগামীদিনে দুধ আর দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য অন্য কোন দেশের ওপর চিনকে নির্ভর করতে হবে না।
কীভাবে সম্ভব হতে পারে এই গোধন উৎপাদন? চিনের বিজ্ঞানমহলের সূত্রে জানানো হয়েছে সেদেশের লিং উ সিটিতে বেশকিছু সংখ্যক গরুর ঘুম থেকে একটি বিশেষ ধরনের কোষ সংগ্রহ করেছিলেন, চীনের কয়েকজন প্রাণিবিজ্ঞানী। এরপর সেখানকার নর্থ ওয়েস্ট এগ্রিকালচারাল এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায়, সেই কোষগুলি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। চিনা সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সংগৃহীত সেই কোষগুলিকে এরপর অতি জটিল কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হয়। আর এরপরেই শুরু হয় ক্লোনিং। আর সেই ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে জন্ম নেয়া প্রথম গোশাবকটির উচ্চতা ছিল ৭৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ প্রায় দু’ ফুট। চিনা সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, সোমাটিক সেল পদ্ধতিতে ক্লোন করা ফুলের প্রথম ব্যাচটি মোট ১২০ টি নতুন গরুর শরীরে বসানো হয়েছিল।
নর্থওয়েস্ট এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জিন ইয়াপিংয়ের দাবি “প্রাথমিক পর্যায়ে ক্লোন করা ভ্রুণের গর্ভধারণের হার ৪২ শতাংশ”।
তাক লাগানো এই গবেষণার শেষে আপাতত শুরু হয়েছে কাউন্ট ডাউন। চিনের বাজারে নতুন এই ‘সুপার কাউ’ আসাটা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আর সেই কাজ শুরু হলেই অদূর ভবিষ্যতে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে, নতুন যুগের সূচনা হবে, শি জিনপিঙের দেশে।