ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ১১ ফ্রেব্রুয়ারিঃ বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে উষ্ণায়ন। কিন্তু কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, গত একদশক যাবৎ একের পর এক বৈঠকে বসেও তার কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এই পরিস্থিতিতেই এবার নতুন এক প্রস্তাব উঠে এল, আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি বৈঠকে। কী সেই প্রস্তাব? ওই বিজ্ঞানীরা জানালেন, একমাত্র চাঁদের ধুলোতেই কমতে পারে এই উষ্ণায়ন। আর সেই ধুলো আনতে হবে নিয়মিত। ধুলো এনে রাখতে হবে পৃথিবী আর সূর্যের মাঝামাঝি এলাকায়।
বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য গ্ৰিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমানোর আর্জিও করা হয়েছে বহুবার। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি সেভাবে। বাধ্য হয়ে সূর্যের বিকিরণ ঠেকাতে নানা উপায়ের খোঁজ চলছিল বহুবার। এবার সেই খোঁজেরই দিশা মিলল বলে ধারণা একদল বিশেষজ্ঞদের। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ ও গবেষণার জগতে আলোড়ন ফেলল এই নতুন গবেষণা।
গবেষকদের তরফে বলা হয়, এক বা দুই শতাংশ সূর্যরশ্মিকে রোধ করতে পারলেই পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা এক থেকে দুই শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। ঘটনাচক্রে গত শতাব্দী থেকে পৃথিবীর উষ্ণতাও বেড়েছে ২ ডিগ্রির কাছাকাছি।
বিজ্ঞানীদের একাংশের ধারণা, বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে সালফার এরোসলের পরিমাণ বাড়াতে পারলেই পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা কমানো যেতে পারে বলে মনে কড়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ফিলিপিন্স দ্বীপপুঞ্জে মাউন্ট পিনাটুবু আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। ফলে উত্তর গোলার্ধের উষ্ণতা এক বছর ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে কম ছিল। পাশাপাশি বৃষ্টিপাতের চরিত্রের বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে কড়া হচ্ছে।
প্লস ক্লাইমেটে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের কথায় চাঁদ থেকে ধুলো এনে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে একটি কক্ষপথে রাখতে হবে। এতেই সূর্যের বিকিরণ আটকানো যাবে। বিজ্ঞানী মহলে ইতিমধ্যে বেশ প্রশংসাও পেয়েছে এই নতুন তত্ত্ব। তবে কক্ষপথ থেকে ধুলো সরে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।