ব্যুরো নিউজ, ৯ ফেব্রুয়ারি: ‘ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহী নমোহস্তুতে’।
বসন্ত পঞ্চমীর দিন এই মন্ত্র দ্বারা সকালে শুরু হয় দেবী সরস্বতীর পুজো। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরেই চলতি বছরের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি পালিত হবে বাঙালির অন্যতম প্রিয় উৎসব সরস্বতী পুজো। সরস্বতী পুজো মানেই সকাল সকাল কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে স্নান করে, হলুদ বস্ত্র ধারণ করে মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে যাওয়া। সরস্বতী পুজোর অঞ্জলিতেও দেখা যায় হলুদ-কমলা গাঁদার সমাহার। সরস্বতী পুজোর সঙ্গে হলুদ রঙের যেন নিবিড় সম্পর্ক। তবে কেন বসন্ত পঞ্চমীর ওই বিশেষ দিনে হলুদ মাখতে হয়? কেনই বা ধারণ করতে হয় হলুদ বস্ত্র? কারণ জানলে চমকে যাবেন আপনিও।
বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রঙের বিশেষত্ব
বসন্ত পঞ্চমী মানে শীত কালের শেষ আর বসন্ত কালের সূচনা। তাই বসন্ত পঞ্চমীতে হলুদ রঙের পোশাক পরার রীতির প্রচলন আছে। এছাড়া বসন্তের আগমনের জানান তো প্রকৃতিও দেয়। এই সময় চারিদিকে বসন্তের মিঠে রোদ অনুভূত হয়। আমাদের জীবনে এক একটি রঙের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। বাস্তু অনুযায়ী রঙেরও প্রচুর গুরুত্ব রয়েছে। যেমন, বাস্তু অনুযায়ী হলুদ রঙের অর্থ নতুন কোনও কিছু শুরু করা। আমাদের জীবনে এক একটি রঙের বিশেষ প্রভাব রয়েছে। হলুদ রং আমাদের অন্তরাত্মাকে শান্ত ও নির্মল রাখে।
কেন পালন করা হয় ভ্যালেন্টাইন’স ডে?
এছাড়াও হলুদ রঙকে শুভ মনে করা হয়। কোন ব্যাক্তির অবসাদ দূর করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে এই রঙ। হলুদ রঙ শক্তি, সমৃদ্ধি, শান্তি ও প্রকাশের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। হিন্দিতে হলুদ রং-কে বসন্ত নামে উল্লেখ করা হয়।এছাড়াও নতুন একটি ঋতুর শুরুতে রঙের প্রভাব মানসিকভাবে আমাদের শক্তি জোগাতে সহায়ক হয়। এ কারণে সরস্বতী পুজোর দিনে সকলে হলুদ বস্ত্র পরিধান করেন ও নিজের বাড়িতে হলুদ রঙের খাবার বিশেষ করে খিচুড়ি তৈরি করেন। এছাড়াও হলুদ রঙ হলো সূর্যরশ্মির সমান যা ব্যক্তির মস্তিষ্কে ভালো প্রভাব বিস্তার করতে সাহায্য করে।
এছাড়া বলা হয় বসন্ত কালে পক্স, হাম এই জাতীয় রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। তাই এই সকল রোগের জীবানুর হাত থেকে বাঁচতে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহার করা হয় কাঁচা হলুদ। তাছাড়াও কাঁচা হলুদে প্রচুর পরিমানে কারকিউমিন থাকে যা হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ইভিএম নিউজ