ব্যুরো নিউজ,২৮ ডিসেম্বর:বিমান সফরের সময় ফোনে এয়ারপ্লেন মোড চালু করা অনেকের কাছে একটি ছোট বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু এটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যদিও বিমান ভ্রমণকালীন অনেকের কাছে এটি আদৌ প্রয়োজনীয় মনে হয় না, কিন্তু উড়ান প্রশিক্ষকরা বলেন, এটি বিমান নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।বিমান চলাকালীন, ফোনের থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সিগন্যাল গ্রাউন্ড নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগের চেষ্টা করতে থাকে, যার ফলে বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দিকনির্ণায়ক প্রযুক্তির উপর প্রভাব পড়তে পারে।
মাইক্রোকারেন্ট ফেশিয়াল আসলে কি? কেন তরুণ প্রজন্ম এতে আকৃষ্ট হচ্ছে? জানুন
যোগাযোগ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত
বিশেষ করে, যখন বিমানটি উড়ান শুরু বা নামার সময় থাকে, তখন ফোনের সিগন্যাল চারপাশের টাওয়ার থেকে সিগন্যাল নিতে থাকে এবং তার ফলে বিমানটির যোগাযোগ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। ফোন থেকে যেসব সিগন্যাল নির্গত হয় তা বিমানের ককপিটের সাথে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের যোগাযোগকে ব্যাহত করতে পারে, বিশেষ করে যখন বিমানটি উচ্চতা পরিবর্তন করছে।এছাড়া, বিমান সফরকালে বেশিরভাগ যাত্রী উদ্বেগ অনুভব করেন, আর ফোন থেকে নির্গত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন মানসিক চাপ আরও বাড়াতে পারে। এর ফলে যাত্রীর উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এই সময়টুকু ফোন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তবে, এটি শুধু যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয় নয়, এটি বিমানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে যখন ১৫০ জন যাত্রী একই সময়ে তাদের ফোন থেকে সিগন্যাল পাঠাচ্ছে, তখন তা বিমানের স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশে সমস্যা তৈরি করতে পারে।উপরন্তু, বিমান সফরের সময় ফোনে এয়ারপ্লেন মোড চালু করার পাশাপাশি, আপনাদের অন্যান্য মানসিক চাপ কমানোর কাজগুলো করা উচিত। হালকা বই পড়া, ঘুমানো বা মেডিটেশন করার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।তাহলে, সামান্য এই কাজটি আপনাদের এবং অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।