ভারতে পাইকারি মূল্য সূচক (ডব্লিউপিআই) ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি ২০২৫ সালের এপ্রিলে ০.৮৫ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যসামগ্রী, শিল্পজাত পণ্য এবং জ্বালানির দাম কমার ফলেই এটা হয়েছে, বুধবার সরকারি পরিসংখ্যানে এই তথ্য দেখা গেছে।
ডব্লিউপিআই (পাইকারি মূল্য সূচক) তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে ০.৮৬ শতাংশ ঋণাত্মক মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে, যেখানে মার্চে ১.৫৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ছিল, এবং সবজির দামে ব্যাপক পতন দেখা গেছে। এপ্রিলে সবজির ক্ষেত্রে ঋণাত্মক মূল্যস্ফীতি ছিল ১৮.২৬ শতাংশ, যা মার্চে ছিল ১৫.৮৮ শতাংশ (ঋণাত্মক)। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে কমে ০.২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা মার্চে ছিল ২৬.৬৫ শতাংশ।
আরবিআই প্রধানত মুদ্রানীতি প্রণয়নের সময় খুচরো মূল্যস্ফীতিকে বিবেচনায় নেয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমে ৩.১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, প্রধানত সবজি, ফল, ডাল এবং অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের দাম কম থাকার কারণে। এটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসের পর সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতির হার।
মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ায় রিজার্ভ ব্যাংকের পক্ষে জুন মাসের মুদ্রানীতি পর্যালোচনায় সুদের হার আরও একবার কমানোর যথেষ্ট অবকাশ তৈরি হবে।
এপ্রিলে আরবিআই বেঞ্চমার্ক পলিসি রেট ০.২৫ শতাংশ কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছিল। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এটি এই বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানো, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি শুল্কের হুমকির সম্মুখীন। আরবিআই চলতি অর্থবর্ষে খুচরো মূল্যস্ফীতি গড়ে ৪ শতাংশ থাকার অনুমান করছে, যা আগের ৪.২ শতাংশের অনুমান থেকে কম।