ব্যুরো নিউজ,১০ সেপ্টেম্বর:অনেকে মনে করেন যে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার ব্রেন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে এই উদ্বেগের বিপরীতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। WHO বিশ্বব্যাপী এই বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের স্বাস্থ্যে কেমন প্রভাব পড়ছে তা বিশ্লেষণ করা। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে মোবাইল ফোনের অত্যধিক ব্যবহার মস্তিষ্কের ক্যানসারের হার বাড়ানোর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই অর্থাৎ মোবাইল ফোনের ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোর প্রমাণ মেলেনি। এই গবেষণার বিস্তারিত প্রতিবেদন ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি বিজ্ঞান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।এছাড়া, WHO এর এই সমীক্ষা প্রমাণ করে যে, মোবাইল ফোনের ‘রেডিওফ্রিকোয়েন্সি’ রশ্মি মস্তিষ্কের ক্যানসারের কারণ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার মতো কোন প্রমাণ নেই।
৫১ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পথে আরজি কর কর্তৃপক্ষ
‘ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড’ এর ক্যানসার বিশেষজ্ঞের মত
গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব বেড়েছে এবং এর ব্যবহারও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গবেষণা চালানো জরুরি ছিল, যা WHO এর এই সমীক্ষার মাধ্যমে সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে।এই গবেষণার মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের প্রতি, যারা পেশাগত কারণে দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সময়কালে ৬৩টি আলাদা গবেষণার রিপোর্ট সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বিশদ বিশ্লেষণে অংশগ্রহণ করেছেন ১০টি দেশের ১১ জন বিশেষজ্ঞ, এবং অস্ট্রেলিয়ার ‘রেডিয়েশন প্রোটেকশন অথরিটি’ও এই গবেষণায় সাহায্য করেছে।
শিক্ষক দিবসের দিনেই নাবালিকা ছাত্রী ‘শ্লীলতাহানি’ অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পিন্সিপাল
গবেষণার অন্যতম সদস্য, নিউজিল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড’ এর ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মার্ক এলউড জানিয়েছেন যে, এই গবেষণায় বিভিন্ন দিককে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, কোনও ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনের ব্যবহারে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গবেষণার অংশ হিসেবে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের নয়, ছোটদের শরীরে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাবও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই বিশ্লেষণেও কোনো বিপদের আশঙ্কা নেই। মস্তিষ্কের ক্যানসার, পিটুইটারি গ্ল্যান্ড, স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড ক্যানসার বা লিউকেমিয়া কোনো কিছুরই কোনো প্রমাণ মেলেনি।
গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীরা, সারা লোগার্ন ও কেন কারিপিডিস তাদের জার্নালে উল্লেখ করেছেন যে, ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। তাদের মতে, মোবাইল ফোনে উৎপন্ন রেডিও তরঙ্গের মাত্রা অত্যন্ত সামান্য, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক নয়। তাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, মোবাইল ফোনের ব্যবহারের কোনও প্রভাব মানুষের শরীরে নেই।এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) একই ধরনের একটি গবেষণা চালিয়েছিল, যার ফলাফলেও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সাথে স্বাস্থ্য সমস্যার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।বর্তমান গবেষণার ফলাফল আগের গবেষণার ফলকে মজবুত করেছে।