ব্যুরো নিউজ, ২০ মার্চঃ বসন্ত উৎসব মানেই কবিগুরুর লাল মাটির শহর শান্তিনিকেতন। তবে এবারও অনিশ্চয়তায় শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী বসন্তোৎসব। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরেও শুধুমাত্র পড়ুয়া, কর্মী ও অধ্যাপকদের মধ্যে সীমিত পরিসরে বসন্ত বন্দনার আয়োজন হবে কিনা স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।
স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুইই বজায় থাকবে! বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন জোয়ারের পরোটা!
সমস্ত ক্যামেরাকে হার মানাবে এই মডেলের দুর্ধর্ষ ক্যামেরা! দেখে নিন Vivo X100 Pro মডেলের রিভিউ!
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষবার বসন্তোৎসব হয়েছিল বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন দূর-দূরান্তের পর্যটক। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী প্রায় এক কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করলেও করোনা অতিমারির কারণে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সত্ত্বেও বসন্তোৎসব বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্তে তৈরি হয় বিতর্ক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়া ও অধ্যাপক কর্মীদের সংঘাত তৈরি হয়।
২০২১ থেকে ২০২৩ সালে পরপর তিন বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, কর্মী ও পড়ুয়াদের নিয়ে নিজেদের মধ্যেই ঘরোয়াভাবে এই উৎসব পালন করে বিশ্বভারতী। তিন বছর পর পূর্বপল্লির মাঠে বসেছিল বিকল্প পৌষমেলা। বিশ্বভারতী সহযোগিতা করলেও বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৌষমেলায় স্থানীয় হস্তশিল্পী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির প্রশ্নে এবছর নজির তৈরি করেছে। সকলেরই আশা রয়েছে পৌষমেলার মতই এবছর বসন্তোৎসব আয়োজন হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করেনি!
বসন্তোৎসব নিয়ে উদ্বিগ্ন পড়ুয়া, কর্মী ও অধ্যাপকেরাও। শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের এবার আয়োজন হবে কিনা? হলেও পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কি না? এসব প্রশ্নে কান না দিয়েই বসন্তোৎসবে স্থানীয় হোটেল, লজ প্রায় বুকিং শেষ পর্যায়ে বলা যেতে পারে। বসন্তোৎসব আদৌ হবে কিনা চিন্তায় পড়েছেন পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতীর কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, “আর মাত্র হাতেগোনা কয়েক দিন বাকি। কিন্তু বসন্তোৎসব নিয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।” সংগীত ভবনের পড়ুয়া সঙ্গীতা দাস জানান, “নির্দেশিকা না আসায় নাচ গানের মহড়াও শুরু হয়নি এখনও পর্যন্ত। অল্প দিনের সময়ে কি হবে কিছুই বুঝতে পারছি না। আগের মত আদৌ কি হবে বসন্তোৎসব? নাকি ঘরোয়াভাবে হবে বসন্ত বন্দনা।”