ব্যুরো নিউজ, ২২ মার্চ: লোকসভা ভোট দোরগোড়ায় তার আগে এখন প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই প্রচারের পাশাপাশি চলছে এখন কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থী নির্ধারণের কাজ। আর তা নিয়েই চলছে নানান জল্পনা।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে ইডি অভিযান
লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজেছে অনেক আগেই সেই মত প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের মাটি শক্ত করতে নিয়েছে বিভিন্ন রণকৌশল। এমনকি ময়দানে নেমে দেদারে চালাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। ইতিমধ্যেই বিজেপি তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এরপরেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু, সেদিক থেকে এখনও প্রার্থীর নাম খোলসা করেনি কংগ্রেস। এর মধ্যেই বাম কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে চলছিল জোর জল্পনা। তবে, আট আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছিল ISF। গতকালই সেই আটটি কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ISF।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বাড়িতে ইডি অভিযান
প্রথম পর্যায়ে ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে আইএসএফ। মালাদহ উত্তর, বারাসত, জয়নগর, বসিরহাট, মুর্শিদাবাদ, শ্রীরামপুর, মথুরাপুর, ঝাড়গ্রাম এই আটটি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম দিল নওশাদের দল। ISF-এর ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। মালাদহ উত্তর থেকে মহম্মদ সাহেব। জয়নগর থেকে মেঘনাদ হালদার। মুর্শিদাবাদ থেকে হাবিব শেখ। বারাসাত থেকে তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। মথুরাপুর থেকে দাঁড়াচ্ছেন অধ্যাপক অজয় কুমার দাস। শ্রীরামপুর থেকে শাহরিয়ার মল্লিক। ঝাড়গ্রাম থেকে অধ্যাপক বাপি সরেন। আর বসিরহাট থেকে দাঁড়াচ্ছেন মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা। আর এর পরেই জন্ম নিয়েছে জয়া জল্পনার।
লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার ৫০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা
প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল বসিরহাট থেকে দাড়াতে পারেন আব্বাশ সিদ্দিকি। কিন্তু ISF-এর প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেখা গেল চমক। কারন আব্বাশ সিদ্দিকির বদলে বসিরহাট থেকে দাঁড়াচ্ছেন মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা। তবে প্রার্থী হওয়ার পরেই মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা বার্তা দিয়েছেন মুসলিম সমাজের উদ্দেশ্যে।
তিনি জানিয়েছেন, এর আগে গত ১৫ বছর ধরে বসিরহাটে ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু এই ১৫ বছরে বসিরহাটে কোনও উন্নয়ন হয়নি। নিকাশি থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটের কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এখানে শাসন ব্যবস্থা একেবারে বেহাল অবস্থা। তাই বসিরহাটে একটি মেডিক্যাল কলেজ করতে চান। যেখানে সেখানকার ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করতে পারবে। সঙ্গে বেসরকারি মাদ্রাসায় মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করার কথাও বলেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি কোন একটি জাতি-বর্ণের সমর্থন না করে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সকল প্রজাতিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে রাজ্য ও দেশের উন্নয়নের কথা বলেন। সংবিধানকে সামনে রেখেই আগামী দিনের পথ চলা ও লড়াই।