ব্যুরো নিউজ,১৯ সেপ্টেম্বর:পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে, যার জেরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। বুধবার সকালে কেশপুরে ১০ বছর বয়সী শিশু শেখ গিয়াসুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।ওই শিশুটি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল।
পাকিস্তানি হকি খেলোয়াড়দের বিতর্কিত পদক্ষেপ: চিনের পতাকা হাতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে
সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি নতুন করে ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দুপুরের দিকে জেলা সফরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় তিনি বানভাসী মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দুর্দশার কথা শোনেন।মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ফরাক্কায় ড্রেজিং হয় না, যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। ডিভিসির সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছিলাম, জল খুব সাবধানে ছাড়ুন, কারণ আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু তারা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছেড়ে দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক।”এদিকে, খবর এসেছে যে দাসপুরে একটি দোতলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কেশপুরের শিশুর মৃত্যুর খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ঘাটালে ছুটে যান। সেখানে তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি জানান, “বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। অন্য রাজ্যগুলোকে বাঁচানো হচ্ছে, কিন্তু বাংলার প্রতি কেন এত অসংবেদনশীলতা?” তিনি বলেন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০ বছর ধরে ঝুলে আছে, কিন্তু এটি এখন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করা হবে।
সূর্যকুমার যাদবের প্রত্যাবর্তন: দলীপ ট্রফিতে ফিরছেন আইসিটি-২০ ক্যাপ্টেন
মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বন্যার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন। তিনি জানতে চান, কত মানুষ জলবন্দি রয়েছেন, কোন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে এবং ত্রাণ শিবিরগুলোতে খাবার পরিস্থিতি কেমন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য ১৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা জানান। তিনি বলেন “আমরা এই কাজটি দুবছরের মধ্যে সম্পন্ন করব। বাংলার মানুষকে দুর্দশা থেকে মুক্ত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,”।পশ্চিম মেদিনীপুরের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এবং সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতির জন্য সরকারিভাবে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জোরালো হচ্ছে।