রাজ্য বাজেট ২০২৫ঃ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট

ব্যুরো নিউজ,১২ ফেব্রুয়ারি :মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একের পর এক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঘোষণা করে সাম্প্রতিক কালে নির্বাচনী ময়দানে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তবে, রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটি হবে রাজ্যের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। সুতরাং, বাজেট পেশের পর রাজ্যের শাসক শিবিরের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ থাকবে—বাজেটের মাধ্যমে জনগণের মন জয় এবং আগামী নির্বাচনের জন্য অর্থনৈতিক কর্মসূচি কেমন হবে, তা নিশ্চিত করা।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি নিয়ে উত্তেজনাঃ কর্মসংস্কৃতি কি নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে? 

শাসক দলের মধ্যে নানা আলোচনা?

আগামী বাজেট নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এই বাজেটে ভোটের আগের কোনো বড় প্রতিশ্রুতি বা চমক না-ও থাকতে পারে। বরং, ভোটের প্রচারে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে আর্থিক পরিকল্পনা সামনে আনা হতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। দলটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের নীতির প্রতিফলন বাজেটে থাকবে, তা নিশ্চিত।’’

বাজেটের বিষয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে, যেমন—নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধা, এবং সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা। এ ছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকাঠামো এবং শিল্পায়ন খাতে নবান্নের ভাবনাগুলিও বাজেটে প্রতিফলিত হতে পারে। কিন্তু সরকারি শিবিরের কিছু সদস্য মনে করছেন, বাজেটে এ সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সরকারের সামনে অর্থের সঠিক সংস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি নিয়ে উত্তেজনাঃ কর্মসংস্কৃতি কি নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে? 

এদিকে বিরোধী দলগুলোও বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। বিজেপির রাজ্য দফতরের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘বাংলার মানুষের চাহিদা মতো কিছু থাকে কি না সেটাই দেখার। শুধু ভাতা বাড়ালে হবে না। পাঁচশো টাকা ভাতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যেটা এখন দেবেন না, ভোটের আগে রূপায়িত হবে।” তিনি আরও বলেন “থাকতে পারে ৩% ডিএ , আমি বলার পরে সেটা ৪% দিতে পারে। আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চাইছি।” চাকরির কথা কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন তিনি। তবে অনেক দিন পরে শিল্প থাকতে পারে। তারই পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার নেতার অভিযোগ, ঘটা করে শিল্প সম্মেলন করলেও এই সরকার গত ১৪ বছরে শিল্পোদ্যোগীদের ২০ হাজার কোটি টাকা শিল্পে উৎসাহ বোনাস (ইনসেনটিভ) দেয় না। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘রাজ্যের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। মদ বিক্রি আর বিদ্যুতের মাসুলের উপর নির্ভর করছে রাজ্য।’’ প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচও বলেছেন, ‘‘রাজ্যের ঋণের ভার ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ কম, আর দুর্নীতির প্রসঙ্গও বাদ পড়েনি।’’বাজেট পেশের আগে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞ মহলে আলোচনা ও বিতর্ক জমে উঠেছে। রাজ্যের বাজেটে কী ধরনের প্রতিশ্রুতি থাকবে এবং তা কিভাবে নির্বাচনী প্রচারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, তা দেখার বিষয়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর