ব্যুরো নিউজ,৫ ফেব্রুয়ারি :৪৩তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার বলটা লং-অফে তুলতেই যেন বুঝে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি—পরিণাম ভালো হবে না। বলটি তালুবন্দি করলেন বেন ডোয়ারশুইস, আর সেই মুহূর্তেই হতাশ মুখে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন কোহলি। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা কেএল রাহুলকেও তখন কিছু বলতে দেখা গেল। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে কোহলি স্বীকার করে নিলেন, শতরান করার তাড়াহুড়োর জন্যই তিনি আউট হয়েছেন।
রোহিত শর্মার অনন্য নজিরঃ আইসিসির চারটি ফাইনালে দলকে নিয়ে যাওয়া প্রথম অধিনায়ক
শতরান হাতছাড়া হওয়ার আফসোস
কোহলি বলেন, “যে সময় আউট হয়েছি, তখন শতরান হতে আর ২০ রান বাকি ছিল। আমি চেয়েছিলাম দ্রুত রানটা করে দুই-তিন ওভারের মধ্যেই খেলা শেষ করতে। মাঝেমধ্যে এমন আক্রমণাত্মক হতে ইচ্ছে করে, তবে সব সময় পরিকল্পনা মতো কাজ হয় না।”এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি শতরান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। এবারও ম্যাচ জিতলেও, ৮৪ রানেই থেমে গেল তাঁর ইনিংস। তবে এই দুই ম্যাচের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই ভাবে খেলেছিলাম। আসলে ছোটখাটো বিষয়গুলোর দিকে নজর দিয়ে, উইকেট অনুযায়ী খেললে সাফল্য পাওয়া যায়। আজও সেটাই চেয়েছিলাম এবং সফল হয়েছি।”
পরিকল্পিত ইনিংস খেলেছেন কোহলি
নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুশি কোহলি। বলেন, “আমি মরিয়া হয়ে রান তোলার চেষ্টা করিনি। ফিল্ডিংয়ের ফাঁক খুঁজে এক-দুই রান নিতে পেরেই ভালো লাগছিল। পাকিস্তান ম্যাচ এবং আজকের ম্যাচে আমার সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি এই জায়গায়।”সেমিফাইনাল বা ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চাপ থাকেই। কিন্তু কোহলি ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান। তাঁর কথায়, “যদি হাতে উইকেট থাকে এবং সময় নিয়ে খেলা যায়, তাহলে বিপক্ষ দল চাপ অনুভব করবেই। আমি সব সময় মাথায় রাখি, কত রান দরকার, কত ওভার বাকি। যদি ছয়-সাতটা উইকেট হাতে থাকে এবং রান-বলের পার্থক্য ২৫-৩০ হয়, তাহলে কখনোই চাপ অনুভব করি না।”
৪৭১ দিনের অপেক্ষার অবসান: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
সেরা ফর্মে কোহলি?
ইংল্যান্ড সিরিজেও ভালো ফর্মে ছিলেন কোহলি। পাকিস্তানের বিপক্ষে শতরান, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪—সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠছেই, এক দিনের ক্রিকেটে তিনি কি আবার সেরা ফর্মে ফিরেছেন? হাসতে হাসতে কোহলি বললেন, “এটা তো আপনারা ঠিক করবেন! আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি শুধু দলের জয় নিশ্চিত করতে চাই। মাইলফলকের দিকে তাকিয়ে থাকি না, কারণ দলকে জেতানোর চেষ্টা করলে এমন কীর্তি আপনা-আপনি চলে আসবে।”কোহলি হয়তো শতরান পেলেন না, তবে আরও একবার প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে ‘চেজমাস্টার’ বলা হয়।