ব্যুরো নিউজ,১০ ফেব্রুয়ারি: বীরভূমের মল্লারপুরে টুরকু হাঁসদা লপসা হেমরম কলেজে সেমিষ্টার পরীক্ষার হলে ছাত্রদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করায় কলেজের ভিতরে ভাঙচুর চালাল পরীক্ষার্থীরা।
অসুস্থ অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী | তড়িঘড়ি ভর্তি করানো হলো হাসপাতালে
শুক্রবার ছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের পঞ্চম সেমিষ্টার পরীক্ষা। পরীক্ষা চলাকালীন হলের মধ্যে হঠাৎ প্রোফেসারেরা ছাত্রদের থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৪ টি মোবাইল উদ্ধার করে। নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ওই ৪ ছাত্রের খাতা নিয়ে নেওয়া হয়।
ছাত্রদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় পরীক্ষা শেষে কলেজের ভিতরেই তারা ভাঙচুর চালায়। কলেজ চত্বরে হাতের সামনে ওই ছাত্রেরা যা পায় তাই ভাঙচুর করে। বাদ যায়নি সিলিং ফ্যান, টিউবওয়েল, টিউব লাইট, চেয়ার, টেবিল ও বাথরুমের জলের ট্যাব।
ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয় কলেজ চত্বরে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মল্লারপুর থানায় অভিযোগ জানালে তারা ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কলেজ চত্বরে ও ক্লাস রুম বা বারান্দায় কোন সি সি টি ভি ছিল না ফলে দোষীদের চিহ্নিত করার বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। ওই কলেজ সংলগ্ন এলাকার মানুষজন ছাত্রদের ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ জানায়নি তা নিয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর স্কুল কলেজে ছাত্রদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সেই সঙ্গে পরিচালন সমিতির ভূমিকাও যথেষ্ট সংশয়জনক। ভাঙড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য হয়েও সেখানকার এক মহিলা অধ্যাপিকাকে জলের জগ ছুড়ে মেরেছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। আরাবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। বরং দলীয় নেতা মদন মিত্র তাকে ‘তাজা নেতা’ বলে অসভ্যতায় উস্কানি দিয়েছিলেন। কার্যত সেই শুরু। এরপর থেকেই রাজ্যের স্কুল- কলেজগুলিতে আকছার ঘটে চলেছে এমন অসভ্যতা। নির্বিকার প্রশাসন। নরেন্দ্রপুরে স্কুলের মধ্যে বহিরাগত ঢুকিয়ে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ব্যাপক মারধোর করালেন যে প্রধান শিক্ষক তাকে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেও ধরছে না পুলিশ। আর এতেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন দুষ্কৃতিরা। ইভিএম নিউজ