ব্যুরো নিউজ,২৬ সেপ্টেম্বর:উৎসবের মরসুম এসে গেছে, কিন্তু মধ্যবিত্তের জন্য আনাজের দাম এখন বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাজারে বেরোলেই দেখা যাচ্ছে, আনাজের দামে ক্রেতারা ‘ক্লিন বোল্ড’ হচ্ছেন।শুধু কলকাতার বাজার নয়, রাজ্যের প্রতিটি কোণায় আনাজের দাম বাড়ছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পুজোর আগে এই দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। শীত পড়লে হয়তো আনাজের দাম কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।
বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে আতঙ্ক ও আশার সংকট
রবীন্দ্রনাথ কোলে কি বললেন
দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট বাজার বা লেক মার্কেট, উত্তরের মানিকতলা বাজার কিংবা শোভাবাজারে গেলে দেখা যাচ্ছে, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন ও ঝিঙে কিনতে গিয়ে ক্রেতাদের চোখ কপালে উঠছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেজি প্রতি বেগুনের দাম ৯০-১০০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, বিনস ১৫০ টাকা, লঙ্কা ১০০ টাকা, ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, আদা ২৫০-৩০০ টাকা, রসুন ৩৫০ টাকা এবং আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা।আনাজের দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বিক্রেতাদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বেগুন, পটল ও শসার উৎপাদনে ধাক্কা লেগেছে। দামোদর অববাহিকায় জলস্তরের বৃদ্ধি দক্ষিণবঙ্গের অনেক অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে বাঁকুড়ায় দামোদরের তীরে, যেখানে সাধারণত আনাজ চাষ হয়, সেখানেও আনাজের দাম কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে।রাজ্যের টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা অবশ্য মনে করছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বন্যার অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের মতে, “কলকাতার বাজারে আনাজ আসে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও হাওড়া থেকে। সেখানে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি হয়নি।” তিনি আরো জানান, গরমে ফসলের জোগান কমতে শুরু করেছে, তাই দাম বেড়ে যাচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ডঃরাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল চাষি ভেন্ডার সমিতির’ সভাপতি কমল দে জানান, প্রতি বছর এই সময় আনাজের দাম বাড়ে। কিন্তু বন্যার অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই। গড়িয়াহাট বাজার সমিতির সভাপতি দিলীপ মণ্ডলও একই মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান টানা বৃষ্টির ফলে দাম বেড়েছে।বিক্রেতারা বলছেন, ভিন রাজ্য থেকে আসা টমেটো ও ক্যাপসিকামের দামও বেড়ে গেছে। ঝাড়খণ্ডে বন্যার কারণে রাজ্যে আনাজের জোগান কমেছে।টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোল জানান, “আনাজের দামের ওপর নজরদারি চলছে, কিন্তু শীতের আনাজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কিছুটা বাড়তেই থাকবে।”