ব্যুরো নিউজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ : উত্তরাখণ্ড সরকার মঙ্গলবার এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কয়েকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি-র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে “রাজ্য সুগন্ধি বিপ্লব নীতি ২০২৬-২০৩৬” অনুমোদন করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হল রাজ্যে সুগন্ধি ফসলের চাষ বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি ডিজিটাল শিক্ষা ও আবাসন প্রকল্পের জন্যও বড় ঘোষণা করা হয়েছে।
সুগন্ধি বিপ্লব নীতি: কৃষকদের জন্য বড় সুবিধা
এই নতুন নীতির অধীনে, প্রথম ধাপে ২২,৭৫০ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি ফসল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রায় ৯১,০০০ কৃষককে উপকৃত করবে। তথ্য বিভাগের মহাপরিচালক বংশীধর তিওয়ারি জানান, কৃষকদের উৎসাহিত করতে এক হেক্টর পর্যন্ত জমিতে চাষের খরচের উপর ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। এর চেয়ে বেশি জমিতে চাষের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ রাজ্যের কৃষি অর্থনীতিকে একটি বড় ধাক্কা দেবে এবং স্থিতিশীল কৃষি পদ্ধতিকে উৎসাহিত করবে।
Barasat Court : বারাসত আদালতে ধুন্ধুমার, পুলিশ আইনজীবী বচসা , আক্রান্ত সাংবাদিক , নেপথ্যে শাসক দল ?
ডিজিটাল শিক্ষা ও আবাসন প্রকল্প
মন্ত্রিসভার অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে, পাঁচটি বিনামূল্যে শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেলের জন্য স্টুডিও স্থাপনের উদ্দেশ্যে আটটি নতুন পদ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চ্যানেলগুলি পিএম ই-বিদ্যা কর্মসূচির অধীনে রাজ্য শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ (SCERT) দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল ডিজিটাল শিক্ষার কার্যক্রমকে আরও মসৃণ করা এবং আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো।
এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে ১,৮৭২টি সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়ি নির্মাণের জন্য ২৭.৮৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এই বাড়িগুলি রুদ্রপুর, উধম সিং নগরের বাগওয়ালায় নির্মিত হচ্ছে, যা নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর মানুষদের আবাসন সুবিধা দেবে।
বিপর্যয়-কবলিত আপেল চাষিদের জন্য ত্রাণ
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বিপর্যয়-কবলিত ধারালির আপেল চাষিদের জন্য বড় ত্রাণ ঘোষণা করেছিলেন। সরকার তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে আপেল কিনবে। ‘রয়্যাল ডেলিশিয়াস’ জাতের আপেল প্রতি কেজি ৫১ টাকা এবং ‘রেড ডেলিশিয়াস’ ও অন্যান্য জাতের আপেল প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে কেনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে গ্রেড সি-এর আপেল এই প্রকল্পের আওতায় আসবে না।
উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ধারালি এবং সংলগ্ন হর্ষিল এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে ব্যাপক ভূমিধস হয়। এতে আপেল বাগানগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য তাৎক্ষণিক সাহায্য নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ সচিবকে এই ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বিপর্যয়ের পর সংগ্রামরত আপেল চাষিদের জন্য একটি বড় স্বস্তি বয়ে আনবে।