ব্যুরো নিউজ,২৮ মার্চ : আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতা ছাত্রীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়। সিবিআই শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে তিন পাতার একটি ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে, যেখানে তদন্তের সাম্প্রতিক অগ্রগতির উল্লেখ রয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, তিন জনের ফোন কলের তথ্য (কল ডিটেলস) বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২৪ জনের নতুন বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে এবং হাসপাতালের আরও কিছু জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, সিবিআই যে নতুনভাবে তদন্ত চালাচ্ছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ আদালতে জমা পড়েছে। তবে তিনি দ্রুত তদন্তের ফলাফল জানতে চান। যদিও বিচারক তাঁদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা দিবসে মুজিবের নাম মুছে দেওয়ার চেষ্টা হোলো,মোদির চিঠিতে খোঁচা ইউনূসকে।
সিবিআই ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বেশ কিছু অংশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে এবং নতুন করে আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে নতুন কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে তা আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে সিবিআই।নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী সওয়াল করেছেন, তদন্ত যেন দীর্ঘসূত্রিতায় না পরিণত হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। আদালত এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে এবং আগামী ১৬ এপ্রিল তাঁদের হাজিরা দিতে বলেছে। পরবর্তী ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দিতে বলা হয়েছে ২৮ এপ্রিলের মধ্যে।
দিল্লী ভোটের আগে যমুনা নদী ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধির
উল্লেখ্য, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ ও অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে সময়মতো চার্জশিট না জমা দেওয়ায় তাঁরা জামিন পান। অভিজিৎ ইতিমধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন, তবে সন্দীপ আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এখনো জেলে রয়েছেন।নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, আট মাস ধরে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এখনো সুবিচার হয়নি। তবে তাঁরা আদালতের ওপর ভরসা রাখছেন এবং ন্যায়বিচারের আশায় দিন গুনছেন।
