ব্যুরো নিউজ,২৯ আগস্ট: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট স্বত:প্রণোদিত মামলা করে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়ার জন্য। এবার সিবিআইয়ের তদন্ত শুরু হওয়ার পরে বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। যদিও তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে তদন্ত চলাকালীন সবার সামনে কোনো আপডেট আনা সম্ভব নয়। তবুও মানুষের মনের মধ্যে প্রশ্ন জেগে উঠেছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে।
বেহালার যুবকের আমরণ অনশনে ঘুম উড়েছে শাসকদলের
কোন তথ্যতালাশের সন্ধানে সিবিআই?
এই প্রসঙ্গে সিবিআই এর তরফে এক আধিকারিক বলেন, এই তদন্তের অভিমুখ মূলত দুইটি। ধর্ষণ এবং খুন কিভাবে ঘটেছে? তার সঙ্গে কেউ কি কোনো ভাবে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে? ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট, সাক্ষ্য প্রমাণ, বিভিন্ন জনের পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আদালত গ্রাহ্য উত্তর খোঁজার চেষ্টায় সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের কেউ চেষ্টা করলে বা তদন্তের অভিমুখ গুলিয়ে দিয়ে যদি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে কঠিন ধারায় মামলা করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
নবান্ন অভিযানে সাংবাদিকদের উপর হামলায় মুখ খুলল টলিউড
নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ পড়ে থাকার কথা জানার পরেও পুলিশকে খবর দিতে দেড় ঘন্টা সময় লাগে। কলকাতা পুলিশ দাবি করে, মৃতদেহের চারপাশে গন্ডি কেটে দিয়েছিল। কিন্তু সিবিআই এর ধারণা, পুলিশ আসার আগেই আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে বহু পদাধিকারী সেই জায়গায় ভিড় জমিয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে বহু পায়ের ছাপ থাকায় নিশ্চিতভাবে অনেক কিছুই বোঝা জটিল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় নিহতের ময়নাতদন্ত, সুরতহাল এবং ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট সিবিআই ইনভেস্টিগেশনের ভরসা। একাধিক ব্যক্তি নির্যাতন করেছিল কিনা সেই বিষয়টি ফরেন্সিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা।তাই ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিকে শীঘ্রই রিপোর্ট পাঠানোর জন্য তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তবে তদন্তে বেশ কিছু ‘প্রভাবশালীর’ নাম উঠে আসায় যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলে তদন্ত করা হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে কোনোভাবে তদন্ত গুলিয়ে দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করলেও কেউ রেহাই পাবেন না বলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়।