ব্যুরো নিউজ,২৬ মার্চ : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আমেরিকার যেকোনো নির্বাচনে ভোট দিতে হলে নাগরিকত্বের প্রমাণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, এই পরিবর্তনের ফলে ভোট জালিয়াতি রোধ হবে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হবে।ট্রাম্প বহুদিন ধরেই মার্কিন নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আসছেন। তার মতে, অবৈধ অভিবাসীরা অনেক সময় ভোট দিয়ে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই তিনি নিশ্চিত করতে চান যে কেবল বৈধ মার্কিন নাগরিকরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
IPL 2025:কলকাতায় আইপিএল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃষ্টির শঙ্কা, খেলা থামার আশঙ্কা?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভোটারদের অবশ্যই বৈধ নাগরিকত্বের কাগজপত্র দেখাতে হবে। এর মধ্যে জন্ম সনদ, পাসপোর্ট বা নাগরিকত্বের অন্যান্য সরকারি নথি থাকতে হবে। এই পরিবর্তন মার্কিন রাজনীতিতে বড় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।ডেমোক্র্যাট দল এই নিয়মের বিরোধিতা করছে। তাদের মতে, এটি সংখ্যালঘু ও নিম্ন আয়ের জনগণের ভোটাধিকার সীমিত করার একটি কৌশল। অনেক আমেরিকান ভোটার, বিশেষ করে বয়স্ক বা গরিব জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় নথি না থাকায় তারা ভোট দিতে পারবেন না।
IPL 2025 রাজস্থানের বিরুদ্ধে কলকাতার ম্যাচ, আবহাওয়া কেমন থাকবে কি বলছে বিশেষজ্ঞরা !
অন্যদিকে, রিপাবলিকানদের মতে, এই নিয়মের ফলে নির্বাচন আরও নিরাপদ এবং নিরপেক্ষ হবে। ট্রাম্প সমর্থকরা মনে করেন, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের মাধ্যমে ভোটারদের আসল পরিচয় নিশ্চিত করা হলে ভোট চুরির আশঙ্কা থাকবে না।
ভুয়ো জাতি-শংসাপত্র ব্যবহার করে শিক্ষক নিয়োগ! এসএসসি-কে পুলিশের চিঠি
এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বড় রাজনৈতিক বিতর্কের কারণ হতে পারে। নির্বাচনী ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার ফলে ট্রাম্পের সমর্থকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও বিরোধী দলগুলো একে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।