ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি:মঙ্গলবার, আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আইন বিভাগের সমস্ত অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন, যারা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময়ে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, বাইডেন-যুগের ‘সমাপ্তি’ ঘটবে এবং এখন থেকে নতুন একটি ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের হাউস পরিষ্কার করতে হবে এবং আমেরিকার স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে হবে।’’ তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আইন বিভাগের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে ফের জেলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বরখাস্তের চিঠি
গত সপ্তাহে, হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন মার্কিন অ্যাটর্নিকে চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি পাঠানো হয়েছিল, এবং জানা গেছে, তাঁরা সবাই বাইডেনের সময়কার কর্মী। এই ঘটনায়, সোমবার কিছু অ্যাটর্নি তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও, নতুন প্রেসিডেন্টের প্রশাসনে বদল হলে, মার্কিন অ্যাটর্নিদের বদলের ‘রীতি’ পুরনো। সাধারণত প্রশাসনের তরফে তাঁদের পদত্যাগপত্রের অনুরোধ করা হয়, কিন্তু এভাবে নির্দেশ জারি করে চিঠি পাঠানো আগে কখনও ঘটেনি।
এই পরিস্থিতিতে, আমেরিকার আইন বিভাগের বর্তমান এবং প্রাক্তন আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।এছাড়া, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের সাথে আরও একটি ঘটনা যোগ হয়েছে। এর আগে, বাইডেন ট্রাম্পের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছিলেন, যার ফলে আমেরিকার গোপন তথ্যাদি আর ট্রাম্পের কাছে পৌঁছাবে না। যদিও, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের সাধারণত এই নিরাপত্তা সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২১ সালে বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘‘বাইডেন এই উদাহরণটি তৈরি করেছেন। তিনি ২০২১ সালে আমার নিরাপত্তার ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন।’’
চুমু বিতর্ক নিয়ে সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণ কী বললেন? জানুন
ফলে, ট্রাম্প এখন তাঁর প্রতিশোধ হিসাবে সেই পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে যে, আর কোনও গোপন তথ্য ট্রাম্পকে দেওয়া হবে না।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আমেরিকার প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, এবং এটি শীঘ্রই আরও আলোচনায় আসবে।