Tripura

ব্যুরো নিউজ ৩০ জুন,মিঠুন ভট্টাচার্য: *ত্রিপুরা রহস্য* হলো হিন্দু দর্শনের এক অসাধারণ প্রাচীন আধ্যাত্মিক গ্রন্থ, যা আত্মজ্ঞান, চূড়ান্ত বাস্তবতা এবং সর্বোচ্চ জ্ঞানের গভীরতম সত্যগুলিকে উন্মোচন করে। এই রহস্যময় ধর্মগ্রন্থটি কেবল একটি পুঁথি নয়, বরং এটি চেতনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং পরমার্থিক উপলব্ধি অর্জনের এক বিস্তারিত পথপ্রদর্শক। এর মূল বিষয়বস্তুগুলি বিশদভাবে আলোচনা করলে এর গুরুত্ব এবং গভীরতা আরও স্পষ্ট হয়।

 ১. উৎপত্তি: পরশুরাম ও দত্তাত্রেয়ের জ্ঞানযজ্ঞ

*ত্রিপুরা রহস্যের* উৎপত্তির মূলে রয়েছে ভগবান পরশুরাম এবং মহামুনি দত্তাত্রেয়ের মধ্যে এক পবিত্র এবং জ্ঞানগর্ভ কথোপকথন। এটি কেবল কোনো প্রচলিত শাস্ত্রীয় রচনা নয়, বরং এক অসাধারণ আধ্যাত্মিক জিজ্ঞাসার ফল।

*ভগবান পরশুরাম*, যিনি বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার, তিনি ছিলেন এক যোদ্ধা ঋষি, যিনি বহু যুদ্ধ ও সংঘাতের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। কিন্তু বাহ্যিক বিজয় তাঁকে প্রকৃত শান্তি বা চূড়ান্ত সন্তুষ্টি দিতে পারেনি। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, জাগতিক কার্যকলাপের ঊর্ধ্বে এক গভীরতর সত্য রয়েছে, যা তাঁকে মোক্ষ বা আত্মজ্ঞান প্রদান করতে পারে। এই গভীর উপলব্ধি থেকেই তিনি চূড়ান্ত বাস্তবতা এবং আত্মজ্ঞান লাভের তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এক মহাজ্ঞানী গুরুর সন্ধান করেন।

রামপুরহাটে রান্না বন্ধ! পুষ্টি বঞ্চনায় শিশুরা

এই সন্ধানের ফলস্বরূপ তিনি *মহামুনি দত্তাত্রেয়ের* শরণাপন্ন হন। দত্তাত্রেয়কে হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের যুগপৎ অবতার হিসেবে পূজা করা হয়। তিনি ছিলেন পরম জ্ঞানী, যিনি ত্রিকালদর্শী এবং যাঁর জ্ঞান ছিল সর্বব্যাপী। দত্তাত্রেয় তাঁর জ্ঞান ও উপলব্ধির মাধ্যমে বহু শিষ্যকে পরম সত্যের পথে চালিত করেছেন। পরশুরামের তীব্র জিজ্ঞাসা এবং আধ্যাত্মিক ব্যাকুলতা দেখে দত্তাত্রেয় তাঁকে এমন এক জ্ঞান দান করলেন, যা পরবর্তীতে *”ত্রিপুরা রহস্য”* নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই উৎপত্তি কেবল একটি পৌরাণিক উপাখ্যান নয়, বরং এটি গুরু-শিষ্য পরম্পরার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটি দেখায় যে, প্রকৃত জ্ঞান কেবল গুরু-শিষ্যের নিবিড় সম্পর্ক এবং শিষ্যের তীব্র জিজ্ঞাসার মাধ্যমেই লাভ করা সম্ভব। দত্তাত্রেয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই জ্ঞান মানবজাতির জন্য আত্মমুক্তির এক চিরন্তন পথ খুলে দিয়েছে। এই আদান-প্রদানের মাধ্যমেই ত্রিপুরারহস্যের প্রতিটি শ্লোক ও অধ্যায় আত্মজ্ঞান লাভের সোপান হিসেবে কাজ করে।

২. ‘ত্রিপুরা’ শব্দের গভীর অর্থ: চেতনার ত্রিস্তরীয় বিশ্লেষণ

*ত্রিপুরা রহস্য* নামকরণের পেছনে একটি গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে, যা কেবল তিনটি “পুরী” বা শহরের আক্ষরিক অর্থে সীমাবদ্ধ নয়। এই ধর্মগ্রন্থে *”ত্রিপুরা”* শব্দটি মূলত চেতনার তিনটি প্রধান স্তরকে নির্দেশ করে—*জাগ্রত , স্বপ্ন এবং সুষুপ্তি* । এই তিনটি স্তরই হলো মানুষের চেতনার ভিন্ন ভিন্ন দশা, যার মধ্য দিয়েই আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির জগৎ প্রবাহিত হয়।

* *জাগ্রত অবস্থা*: এটি আমাদের পরিচিত বাহ্যিক জগতের অভিজ্ঞতা। এই অবস্থায় আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি সক্রিয় থাকে এবং আমরা স্থূল বস্তু ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকি। আমরা এই অবস্থাতেই জাগতিক কার্যকলাপে অংশ নিই, দেখি, শুনি, স্পর্শ করি এবং অনুভব করি। এই অবস্থায় মন বাইরের বস্তুর উপর নির্ভরশীল থাকে। ত্রিপুরা রহস্য ব্যাখ্যা করে যে, জাগতিক অভিজ্ঞতাগুলি কীভাবে মায়ার দ্বারা আবৃত থাকে এবং কিভাবে বাহ্যিক জগৎ আমাদের প্রকৃত স্বরূপ থেকে বিচ্যুত করে।

* *স্বপ্ন অবস্থা*: এই অবস্থায় আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি, তখন আমাদের মন এক ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে। এই জগতে আমরা বিভিন্ন ছবি, শব্দ এবং অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করি, যা বাইরের জগতের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নাও হতে পারে। এই অভিজ্ঞতাগুলি মনের অভ্যন্তরীণ সৃষ্টি, যেখানে ইন্দ্রিয়গুলি নিষ্ক্রিয় থাকে কিন্তু মন সক্রিয় থাকে। স্বপ্ন অবস্থা দেখায় যে, আমাদের মন কীভাবে নিজের জগৎ তৈরি করতে পারে এবং কীভাবে আমাদের উপলব্ধি কেবল বাহ্যিক বস্তুর উপর নির্ভরশীল নয়।

মুম্বইয়ের বহুতল আবাসনের ১৭ তলা থেকে পথ কুকুরের ঝাঁপ, অভিযুক্ত আবাসনের নিরাপত্তাকর্মী

* *সুষুপ্তি অবস্থা*: এটি গভীর ঘুমের অবস্থা, যেখানে কোনো স্বপ্ন থাকে না এবং মন সম্পূর্ণ শান্ত থাকে। এই অবস্থায় ব্যক্তির কোনো জাগতিক বা স্বপ্নকালীন অভিজ্ঞতা থাকে না। এটিকে এক প্রকার আনন্দময় নিস্তব্ধতা বলা যেতে পারে, যেখানে অহংকার বা দ্বৈততার কোনো অনুভূতি থাকে না। এই অবস্থায় আমরা আত্মানন্দের এক প্রচ্ছন্ন অভিজ্ঞতা লাভ করি, যদিও তা সম্পূর্ণরূপে সচেতনভাবে হয় না। ত্রিপুরা রহস্য মতে, সুষুপ্তি হলো সেই অবস্থা যা আত্মাকে তার প্রকৃত স্বরূপের কাছাকাছি নিয়ে যায়, কারণ এই অবস্থায় বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ কোনো অভিজ্ঞতা থাকে না যা মনকে বিক্ষিপ্ত করে।

দত্তাত্রেয় পরশুরামকে এই তিন স্তরের চেতনার রহস্য উন্মোচন করেন এবং দেখান যে, কীভাবে এই স্তরগুলি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কীভাবে এগুলির মধ্য দিয়ে চেতনার প্রবাহ চলে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, এই তিনটি অবস্থাই মায়ার দ্বারা আবৃত এবং এগুলি প্রকৃত আত্মস্বরূপ থেকে মানুষকে দূরে রাখে। ত্রিপুরারহস্যের মূল লক্ষ্য হলো এই তিনটি স্তরকে অতিক্রম করে “তুরীয়” (Turiya) বা চতুর্থ অবস্থায় পৌঁছানো, যা হলো পরম চেতনার অবস্থা। এই তুরীয় অবস্থাই হলো আত্মজ্ঞান, যেখানে ব্যক্তি তার প্রকৃত স্বরূপ এবং ব্রহ্মের সঙ্গে একত্ব উপলব্ধি করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আত্মার চিরন্তন প্রকাশ ঘটে এবং ব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে।

৩. লক্ষ্য: আত্ম-অন্তর্মুখীতা এবং সর্বজনীন জ্ঞান

*ত্রিপুরা রহস্যের* প্রধান লক্ষ্য হলো ব্যক্তিকে বাইরের জগতের কোলাহল ও আসক্তি থেকে মুক্ত করে তার অন্তর্জগতের গভীরে প্রবেশ করানো। এটি কেবল একটি দার্শনিক তত্ত্ব নয়, বরং এটি এক ব্যবহারিক পথনির্দেশিকা যা ব্যক্তিকে সত্যিকারের জ্ঞান অর্জনের দিকে চালিত করে।

গ্রন্থটি বারবার জোর দেয় যে, প্রকৃত জ্ঞান কোনো বাহ্যিক উৎস থেকে আসে না, বরং তা নিজের মধ্যেই নিহিত থাকে। আমরা প্রায়শই বাইরের বস্তু, সম্পর্ক এবং অভিজ্ঞতার মধ্যে সুখ ও পরিপূর্ণতা খুঁজি। কিন্তু ত্রিপুরা রহস্য শেখায় যে, এই বাহ্যিক অনুসন্ধান কেবল ক্ষণস্থায়ী তৃপ্তিই এনে দেয় এবং প্রকৃত শান্তি লাভ করতে হলে আমাদের অন্তর্মুখী হতে হবে।

* *অন্তর্জগতের গভীরে প্রবেশ*: এই প্রক্রিয়ায় ব্যক্তিকে তার মন, বুদ্ধি, অহংকার এবং সংবেদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করতে শেখানো হয়। এটি এমন এক সাধনা যেখানে ব্যক্তির নিজের চিন্তা, আবেগ এবং উপলব্ধির প্রতি সচেতন হতে হয়। এই আত্ম-পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ব্যক্তি তার মনের অস্থিরতা এবং বাহ্যিক প্ররোচনার উৎসগুলি বুঝতে পারে।

সরকারি ফার্মেসি কলেজে ১৮০ লক্ষ টাকার তছরুপ!

* *সত্যিকারের জ্ঞান অর্জন*: এই জ্ঞান কোনো তথ্য বা তত্ত্বের সমষ্টি নয়, বরং এটি হলো আত্মিক উপলব্ধি। এটি হলো নিজের প্রকৃত স্বরূপ, অর্থাৎ আত্মার সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করা। যখন একজন ব্যক্তি তার ভেতরের সত্তার সাথে সংযুক্ত হতে পারে, তখনই সে প্রকৃত জ্ঞান লাভ করে। এই জ্ঞান ব্যক্তিকে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি দেয় এবং চিরন্তন শান্তি প্রদান করে।

* *সর্বজনীন দর্শন*: ত্রিপুরা রহস্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর সর্বজনীনতা। এই গ্রন্থটি কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় অনুশাসন, প্রথা বা উপাসনা পদ্ধতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি এমন এক দর্শন যা মানবজাতির সকল সদস্যের জন্য প্রযোজ্য, তারা যে কোনো ধর্ম বা বিশ্বাসেরই হোক না কেন। এর শিক্ষাগুলি মানব অস্তিত্বের মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর দেয় এবং আত্ম-মুক্তির একটি সার্বজনীন পথ প্রস্তাব করে। এটি জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য সত্যের এক চিরন্তন পথ খুলে দেয়। পরশুরামের প্রশ্ন এবং দত্তাত্রেয়ের উত্তরগুলি এমনভাবে বিন্যস্ত যে, যে কোনো পাঠক ধাপে ধাপে আত্মজ্ঞান এবং চিরন্তন শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এটি মানুষকে শেখায় কিভাবে অহংকার, আসক্তি এবং অজ্ঞতা থেকে মুক্ত হয়ে পরমাত্মার সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায়।

৪. গুরুত্ব: আধ্যাত্মিক সাধকদের অমূল্য রত্ন

*ত্রিপুরা রহস্য* আধ্যাত্মিক সাধকদের জন্য এক *অমূল্য রত্ন* হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি অসংখ্য সাধক, যোগী এবং জ্ঞান অন্বেষণকারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

* *আত্মিক মুক্তির পথপ্রদর্শক*: যারা মোক্ষ বা আত্মিক মুক্তি অর্জন করতে চান, তাদের জন্য ত্রিপুরা রহস্য একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে। এটি কেবল তত্ত্বীয় জ্ঞান প্রদান করে না, বরং এটি কিভাবে ধ্যানে বসতে হবে, মনকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং কিভাবে আত্ম-উপলব্ধি অর্জন করতে হবে, তার ব্যবহারিক দিকনির্দেশনাও প্রদান করে। এর প্রতিটি অধ্যায় গভীর আধ্যাত্মিক সাধনার প্রতিটি ধাপকে আলোকিত করে।

* *সহজ ভাষায় গভীর দর্শন*: ত্রিপুরা রহস্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর সহজবোধ্য ভাষা, যা গভীর দার্শনিক তত্ত্বগুলিকেও সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য করে তোলে। এটি কোনো জটিল শাস্ত্রীয় পরিভাষায় আবদ্ধ নয়, বরং এটি দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ এবং গল্পচ্ছলে জটিল ধারণাগুলিকে ব্যাখ্যা করে। এই কারণে, এটি সকল স্তরের সাধকদের কাছে গ্রহণীয় এবং পঠনযোগ্য। এই সরলতা সত্ত্বেও, এর মধ্যে যে জ্ঞান নিহিত, তা পরম গভীর এবং আত্মিক জাগরণের জন্য অপরিহার্য।

প্রকাশ্যে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বিধবাকে মারধর ভয়ঙ্কর পরিণতি ঘাটালে

* *চিরন্তন অনুপ্রেরণার উৎস: আজও বহু যোগী, সন্ন্যাসী এবং আধ্যাত্মিক পথের পথিকেরা **ত্রিপুরা রহস্য* অধ্যয়ন করে জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণা লাভ করেন। এর শিক্ষাগুলি সময় ও কালের ঊর্ধ্বে, কারণ তারা মানব অস্তিত্বের চিরন্তন সত্যগুলির সাথে সম্পর্কিত। এটি মানুষকে শেখায় কিভাবে জীবনের দুঃখ, কষ্ট এবং বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে সত্যিকারের আনন্দ ও শান্তি লাভ করা যায়।

* *ব্যক্তিগত রূপান্তরের সহায়ক*: ত্রিপুরা রহস্য শুধু একটি জ্ঞানগ্রন্থ নয়, এটি ব্যক্তিগত রূপান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর শিক্ষাগুলি অনুশীলন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার অহংকার, ভয়, আসক্তি এবং অন্যান্য মানসিক বাধাগুলি অতিক্রম করতে পারে। এটি ব্যক্তিকে আত্ম-বিশ্লেষণ এবং আত্ম-অনুসন্ধানের মাধ্যমে তার জীবনের উদ্দেশ্য বুঝতে সাহায্য করে এবং তাকে আধ্যাত্মিক পূর্ণতার দিকে পরিচালিত করে।

পরিশেষে বলা যায়, *ত্রিপুরা রহস্য* এমন একটি গ্রন্থ যা কেবল আত্মিক জ্ঞান প্রদান করে না, বরং এটি মানব চেতনার গভীরতম রহস্যগুলিকে উন্মোচন করে। এটি পরশুরামের জিজ্ঞাসা এবং দত্তাত্রেয়ের উত্তরগুলির মাধ্যমে পাঠককে আত্মজ্ঞান এবং চিরন্তন শান্তির এক অনন্য পথে নিয়ে যায়। যে কোনো মানুষ, যিনি আত্মার সত্যকে জানতে চান, তাঁর জন্য এটি এক অসাধারণ পথপ্রদর্শক। এর সার্বজনীন শিক্ষা এবং গভীর দার্শনিকতা এটিকে মানব সভ্যতার এক চিরন্তন আধ্যাত্মিক সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর