ব্যুরো নিউজ, ৩ মার্চ: আদিবাসীদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘জয় জোহার মেলা’। আর এবার সেই মেলাই বয়কট করল আদিবাসীরাই।
আদিবাসী বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চের অভিযোগ, আদিবাসী হোস্টেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে, সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিরও খারাপ অবস্থা। এর কারন হিসাবে অর্থাভাব কেই ঢাল করছে রাজ্য সরকার। এদিকে অর্থের অভাব। আর অন্য দিকে অপ্রয়োজনীয় ভাবে আদিবাসীদের সংস্কৃতি বাঁচানোর নামে মেলার ‘নাটক’ করছে সরকার।
আদিবাসী সংস্কৃতি উন্নয়নের লক্ষে সরকারি ভাবে শুরু হয় ‘জয় জোহার মেলা’। আজ থেকে বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলের জেলার ব্লকে ব্লকে আদিবাসী এই মেলা শুরু হয়। কিন্তু যাদের উদ্যেশ্যে এই মেলা সেই আদিবাসীদের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ এই মেলা বয়কট করেছে।
শনিবার বিকালে বাঁকুড়ায় মিছিল করে আদিবাসীদের সম্মিলিত মঞ্চ। সেই মিছিলে মূলত ‘জয় জোহার মেলা’ বয়কটের কথা ঘোষণা করে আদিবাসীদের সম্মিলিত মঞ্চ ফোরাম ফর অল আদিবাসী অর্গানাইজেশনস।
তাঁদের দাবি, এদিকে রাজ্য সরকার বলছে অর্থ নেই। আর সেই অজুহাত দেখিয়ে আদিবাসীদের একের পর এক স্কলারশিপ বন্ধ করে রেখেছে রাজ্য সরকার। এমনকি বন্ধ বহু আদিবাসী হোস্টেল। সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলির পরিকাঠামোর করুণ অবস্থা। এছাড়াও মারাত্মক অভিযোগ করেন তারা। তাদের দাবি, যারা আদিবাসী নয়, এমন ভুরি ভুরি মানুষ আদিবাসী সংশাপত্র পাচ্ছে রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়ে। যার ফলে যারা প্রকৃত আদিবাসী তারাই বিভিন্ন সরকারি সুযোগ- সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর এখন ‘নাটক’ করে জয় জোহার মেলার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। এই সকল কারন দর্শীয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জয় জোহার মেলা’ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদিবাসীদের সম্মিলিত মঞ্চ।
পাশাপাশি তারা জানায়, আদিবাসীরা নিজেদের সংস্কৃতিতে সুরক্ষিত। তাই তাদের জন্য আলাদা করে কোনও মেলার দরকার নেই। এমনকি রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হয়ে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।