ব্যুরো নিউজ, ১২ জুন: হাতে কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে যদি অফবিট পাহাড়ি স্পটে ঘুরে আসা যায় তাহলে কেমন হয় বলুন তো। গেলে মন্দ হয়না। তাই আপনার গন্তব্য হতেই পারে মাজুয়া। মানেভঞ্জন থেকে মাজুয়ার দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। পাহাড় আর বনে ঘেরা শান্ত একটা জায়গা।
ডিপ্রেশান কাটাতে বানানা থেরাপিতেই ভরসা চিনের! কি এই বাবানা থেরাপি?
পাহাড়ের এই অফবিট জায়গায় গেলে একাত্ব হতে পারেন প্রকৃতির সঙ্গে
নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে গাড়ি করে চলে যেতে পারেন মানেভঞ্জন, তারপর সেখান থেকে পৌঁছে যান মাজুয়া। মোটামুটি ঘন্টা চারেকের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন গন্তব্যে। এখানে পৌঁছেই সবার আগে যা ফিল করবেন সেটা হল এই জায়গাটার পরিচ্ছন্নতা আর শান্ত পরিবেশ। টুরিস্টের ভিড় তেমন হয় না বলে বেশ নিঝুম; প্রাকৃতিক শব্দ ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই বললেই চলে। বন্য পাখির ডাক, বাতাসের শরশর শব্দ, এই সব কিছুই আপনার ক্লান্তি নিমেষে দূর করে দেবে। মাজুয়া নদীতে স্রোত বেশি নয়, তাই জলে পা ডুবোনো মাত্র সারা শরীরে যেন একটা শান্তির অনুভুতি। সন্ধ্যেটা আড্ডা আর গল্প দিয়ে কেটে যাবে।
সকাল হলে দেখতে পারবেন পর্বত উপত্যকায় এক অপরূপ ভোর। পাহাড়ের অনেক টুরিস্ট স্পটেই সকাল সকাল মানুষ আর গাড়ির হর্নের ঠেলায় কখনও কখনও বিরক্ত লাগে, কিন্তু এখানে পাখির ডাক, নদীর শব্দ ছাড়া আর কোনো আওয়াজই নেই! এখানে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা যে এত রোমাঞ্চকর হতে পারে তা না গেলে বুঝতে পারবেন না। যেতে যেতে জঙ্গলের মধ্যে দেখতে পাবেন মহাকাল ফলস। তারপর গাড়ি করে চলে যেতে পারেন গুরদুম। চারিদিকে শুধু সবুজ ভ্যালি আর অসামান্য সব ভিউ। আলপাইন অরণ্যের মাঝে ছোট্ট একটা গ্রাম গুরদুম, জনসংখ্যাও একেবারে কম।
সন্ধ্যেটাও আরো সুন্দর হয়ে উঠতে পারবে ক্যাম্পফায়ার আর বারবিকিউয়ের দৌলতে। গুরদুমে একটা রাত কাটিয়ে ফিরে আসার পালা।