ব্যুরো নিউজ,২৯ নভেম্বর:গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ওই বৈঠকে দলের মুখপাত্রদের নতুন তালিকা ঘোষণা করা হয়, যাতে অনেক পুরনো মুখপাত্র বাদ পড়েন। বাদ পড়া সদস্যরা, যারা দলীয় কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন, তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয় এবং তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেন।এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বাদ পড়া মুখপাত্রদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন।জানা গেছে, ডেরেক ও’ব্রায়েন সরাসরি ফোন করে তাদের আশ্বস্ত করেন এবং জানান যে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হবে।কেউ সবসময় এক জায়গায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারে না, সেটাও পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি।
চিন্ময় কৃষ্ণদাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কলকাতায় বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
মনোভাব ইতিবাচক হয়েছে কি?
বাদ পড়া মুখপাত্রদের তালিকায় অরূপ চক্রবর্তী, ঋজু দত্ত, সুদীপ রাহা, কোহিনুর মজুমদার সহ আরও অনেকেই ছিলেন।তারা পূর্বে দলের হয়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন। অরূপ চক্রবর্তী, যিনি দলের কঠিন সময়ে বিরোধীদের আক্রমণ সত্ত্বেও দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন, ফোনে ডেরেককে জানান যে তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন, কিন্তু কষ্টের সময়ে দলের হয়ে কথা বলার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন না।এই ফোনের মাধ্যমে ডেরেক ও’ব্রায়েন দলের সিদ্ধান্তের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন যে, সবাইকে নতুন দায়িত্ব নিতে হবে এবং তাতে সফল হতে হবে। তিনি জানান, দলের সকল নেতা, বিশেষ করে যারা নতুন দায়িত্ব পাবেন, তাদের পাশে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস।
চিন্ময় কৃষ্ণদাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কলকাতায় বাংলাদেশ সরকারবিরোধী বিক্ষোভ
এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে, কারণ বাদ পড়া মুখপাত্ররা জানাতে পেরেছেন যে ফোনটি এসেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বশেষ বৈঠক কালীঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে নতুন মুখপাত্রদের তালিকা ঠিক করা হয়। এরপর থেকে বাদ পড়া মুখপাত্ররা বেশ কিছুদিন হতাশ ছিলেন, কিন্তু এখন তাদের মনোভাব একটু ইতিবাচক হয়েছে।