ব্যুরো নিউজ,১৭ সেপ্টেম্বর:সপ্তাহের শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা, দেবাংশু ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষ, বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে বড়সড় আলোচনায় এসেছেন। অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য এবং কুরুচিকর রসিকতার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই মন্তব্যের কারণে শাসক দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বিরাট কোহলির প্রশংসা: তরুণ সরফরাজের স্বপ্ন পূরণের গল্প
কুরুচিকর মন্তব্য
মৌসুমী ভট্টাচার্য, যিনি জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ মঞ্চে নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন এবং শুরু থেকেই আরজি কর আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, সম্প্রতি দেবাংশু ও কুণালকে নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন। মৌসুমী মন্তব্য করেন, “কুণাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য যখন জনগণের হাতে আসবেন, তখন তাদের কে রক্ষা করবেন আমি দেখব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের রক্ষা করতে আসবেন না।” এই মন্তব্যের পরেই দেবাংশু ও কুণালের পক্ষ থেকে মৌসুমীকে লক্ষ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। কুণাল লেখেন, “হ্যাঁ রে দেবাংশু, তোর পাত্রী দেখার কাজটা এগোব?” এবং দেবাংশু পালটা লেখেন, “সিরিয়ালে কাজ নেই, বদন বিগড়েছে,” এবং মৌসুমীকে ‘দজ্জাল পাত্রী’ বলেও মন্তব্য করেন।এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র কুণাল ঘোষের ভাষা নিয়ে তীব্র নিন্দা করে লেখেন, “এই কুণাল ঘোষদের কথায় নাচবেন না, এদের চিনে রাখুন। এরা সম্ভাব্য ধর্ষক হতে পারে। তীব্র ধিক্কার জানাই।”
মমতা ও জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকঃ কিছু দাবি নিয়ে অনিশ্চয়তা
অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি মন্তব্য করেন, “যে রাজ্যে পাবলিক ফোরামে টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে নিয়ে ঠাট্টা করা হয়, সে রাজ্যে নারীর স্বাধিকার বা সম্মান ফিরে আসবে কী?” অন্যদিকে, রূপাঞ্জনা মিত্র কিছুটা ভিন্নভাবে ভাবনা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিদিনের ভাষায় একটু সংযম আনা উচিত। যেমন, পিসি, চটি চাটা, ফেকুজি, ইত্যাদি শব্দগুলো। আমাদের নিজেদের ভাষা যদি ঠিক না করি, অন্য কাউকে শুধরানো সম্ভব হবে না।”অভিনেত্রী অনিন্দিতা রায়চৌধুরী মন্তব্য করেন, “ভীষণ বিরোধিতা হচ্ছে মতাদর্শের! এতো কথা বলার প্রয়োজন কি? পেট গরম হলে যেমন পচা খাবার বেরিয়ে আসে, সেরকম এই ধরনের ভাষার প্রকাশ!” এই মন্তব্যের কমেন্টে সোহিনী সরকার লেখেন, “এরা নাকি ধর্ষকদের শাস্তি দেবে?”মৌসুমী ভট্টাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “সরকারের লোক হয়ে যদি মেয়েদের সম্পর্কে এমন ভাবনা থাকে, তাহলে এটা তাদের শিক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ভাষায় কথা বলেন না। আমি আশা করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকগুলিকে দলের বাইরে করবেন। এরকম আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।”এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার তোলপাড় এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিবাদ আন্দোলন সামগ্রিকভাবে একটি বড় সামাজিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই সমস্ত কু মন্তব্য করা দেবাংশু ভট্টাচার্য ও কুণাল ঘোষকে সত্যিই কি দলের বাইরে বের করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?