ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি:প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় মহাশিবরাত্রি, যা শিবভক্তদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন। এই বছর মহাশিবরাত্রি পড়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। মহাশিবরাত্রি মূলত সেই দিন, যেদিন মহাদেব শিব এবং দেবী পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল বলে মনে করা হয়। শিবভক্তরা সারা রাত উপবাস রেখে ও মহাদেবের আরাধনা করেন, যা একদম তাদের জীবনের একটি বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অভিজ্ঞতা।
ভালোবাসায় গুরুত্ব পাচ্ছেন না? হতাশ না হয়ে ফলো করুন এই শক্তিশালী টিপসগুলি
শিবলিঙ্গের পুজো
মহাশিবরাত্রির দিনে মহাদেবের সান্নিধ্যে আসার জন্য ভক্তরা নানা ধরনের উপাদান দিয়ে শিবলিঙ্গের পুজো করে থাকেন। তবে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে নিবেদন করা উচিত নয়। এমন ভুল করলে শিবের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে। চলুন, জানি মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে কোন কোন জিনিস নিবেদন করা উচিত নয়।
তুলসী পাতা
হিন্দুধর্মে তুলসী পাতা অত্যন্ত পবিত্র এবং তা প্রায় প্রতিটি পুজোয় ব্যবহৃত হয়। তবে মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে তুলসী পাতা দেবেন না। পুরাণ অনুসারে, মহাদেব শিব তুলসীর স্বামী জলন্ধরকে বধ করেছিলেন এবং তুলসী গাছ মা লক্ষ্মীর রূপও ধারণ করে থাকে। তাই শিবের আরাধনায় তুলসী পাতা ব্যবহার করা উচিত নয়।
নারকেল
নারকেল বা নারকেলের জল ধর্মীয় বিশ্বাসে শ্রীফল হিসেবে পরিচিত এবং মা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। তাই মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে নারকেল নিবেদন করা ভুল হতে পারে। এই দিনে নারকেল দেবেন না, কারণ এটি শিবের আরাধনায় অশুদ্ধ হতে পারে।
ভাঙা চাল
মহাশিবরাত্রির পুজোয় চালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তবে তা অবশ্যই অখণ্ড চাল হতে হবে। ভাঙা চাল শিবলিঙ্গে নিবেদন করা উচিত নয়, কারণ ধর্মীয় বিশ্বাসে ভাঙা চাল কখনও কোনো পুজোয় ব্যবহার করা উচিত নয়।
কুমকুম
কুমকুম মূলত মহিলাদের শৃঙ্গারের উপকরণ, যা সাধারণত লক্ষ্মী, দুর্গা বা অন্য দেবী-দেবতাদের পুজোয় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু শিবলিঙ্গে কুমকুম নিবেদন করা উচিত নয়, কারণ মহাদেব পৌরুষের প্রতীক এবং কুমকুম মহিলাদের শৃঙ্গারের প্রতীক।
হলুদ
হলুদ সাধারণত শুভ মাঙ্গলিক কাজে ব্যবহৃত হয় এবং শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। তবে মহাশিবরাত্রিতে শিবলিঙ্গে হলুদ দেবেন না। শিবপূজোর ক্ষেত্রে হলুদ ব্যবহার না করা ভাল।