ব্যুরো নিউজ ১ আগস্ট : কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে। কিন্তু রাজ্যের প্রধান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতির কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল হাই কোর্ট। বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামী ৭ অগস্ট ফের শুনানি হবে এবং সব পক্ষকে প্রস্তুত হয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন
ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। গত ১৭ জুলাই বিচারপতি সৌমেন সেন ও স্মিতা দাস দে-র বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, ছাত্র সংসদের বিজ্ঞপ্তি আগে জারি করতে হবে। আদালতের মতে, উপাচার্য না থাকলেও রাজ্য তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। এরপর রাজ্য সরকার জানায়, তাদের দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা, বাকিটা সংশ্লিষ্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।
এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, বহু কলেজে ছাত্র সংসদের কোনও কার্যকরী সংগঠন নেই এবং দীর্ঘদিন নির্বাচন হয়নি। এমনকি ছাত্র সংসদের কক্ষ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সেখানে ছাত্রদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। হাই কোর্টও নির্দেশ দেয়, কোনও ছাত্র লিখিত অনুমতি ছাড়া ইউনিয়ন রুমে ঢুকতে পারবে না। ইউনিয়ন রুম ব্যবহার করতে চাইলে নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে। এই নির্দেশ শুধুমাত্র ছাত্র সংসদের ঘরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ছাত্ররাজনীতি ফের জোরদার করতে আদালতের এই হস্তক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন শিক্ষাক্ষেত্রের বিশ্লেষকরা। কিন্তু বারবার শুনানি পেছনো এবং সরকারি দিক থেকে অসহযোগিতা এই ইস্যুতে জটিলতা বাড়াচ্ছে। এখন দেখার, আগামী ৭ অগস্টের শুনানিতে রাজ্য কী যুক্তি দেয় এবং ছাত্র সংসদ ভোটে কোন দিশা দেখায় আদালত।