ব্যুরো নিউজ,১ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আর নির্দিষ্ট কোনো সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যা ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গ্রামীন এলাকার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়ারাও প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছেন। তারপরই দেখা গিয়েছে, জেলা স্কুল পরিদর্শক এর তরফে নির্দেশিকা জারি করে সেই স্কুলের বাইরে কোনো রকম কর্মসূচিতে পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও থামানো যাচ্ছে না প্রতিবাদ।
বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলে থাকলে বাতিল হতে পারে প্রাক্তনের ডিগ্রি
এবার সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের আয়োজিত অনুষ্ঠান ছাড়া কোনো অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা যোগ দিতে পারবে না বলে ওই নির্দেশিকা নিয়ে শিক্ষকমহল প্রতিবাদে মুখর। আর এর মধ্যেই জানা গিয়েছে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববঙ্গ মেলা প্রাঙ্গণে রাজ্য সরকারের তরফে একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। যে অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুল ও শিক্ষকদের সম্মান প্রদান করার কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। এবার আরজিকর ইস্যুতে প্রতিবাদের ভয়েই পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকার? এই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। তার কারণ আরজিকর আবহে এই অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। যেভাবে আরজিকর ইস্যুতে শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন, সেই প্রতিবাদের আশঙ্কা থেকেই কি এই অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে গেল?
বিধাননগরে এক তরুণীকে ‘যৌন হেনস্থা’ অভিযোগ
ইতিমধ্যেই দলের মহান ভাবমূর্তি তুলে ধরতে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা চলছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত মমতার সরকারের উপর, এটা স্পষ্ট আর কেউ না হলেও বুঝে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার নির্দেশে কিছু কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস পথে নেমেছে। কিন্তু তারপরেও প্রতিবাদের ভয়েই রাজ্য সরকারের শিক্ষক দিবসের মতো একটি অনুষ্ঠান স্থগিত এর কথা জানা গেল, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।