ব্যুরো নিউজ,১৯ জুলাই: ভোট মিটে গিয়েছে। ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে চারটিই দখল করেছে তৃণমূল। কিন্তু তারপরেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখলেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার উপনির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই বহু বিজেপি কর্মী তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত আক্রান্ত বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যান বিরোধী দলনেতা।
ভোট ডিউটির জন্য পুলিশ কর্মীদের পুরস্কারের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,চালু হলো এই প্রথম
শুভেন্দুর কনভয় যেতেই যা ঘটলো
নদীয়ার গাংনাপুর এলাকা দিয়ে বিকেলবেলায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় যাওয়ার সময় ওই রাস্তায় জমায়েত করে কিছু তৃণমূলের কর্মী। ঘটনাস্থলে শুভেন্দুর কনভয় পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা চোর চোর বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকেন তারা। ওই স্লোগান শুনেই গাড়ি থামিয়ে তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। ওই মুহূর্তে তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হলে শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন। তৃণমূল কর্মীদের ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেন তারা।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ছে বিধানসভা, খরচ কয়েক লক্ষ টাকা, আচমকা কারণটা কি?
এরপরে ওই জায়গা ছেড়ে শুভেন্দুর কনভয় এগিয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, যারা এখানে চেঁচিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিল তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে এসেছি। এদেরকে চিহ্নিত করে আদালতে মামলা করার কথাও তিনি বলেন। এমন কি গাংনাপুরের ওসির বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে বলে ঘোষণা করেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূলের মাথাব্যাথার কারণ, সেটাই এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।