শর্মিলা চন্দ্র, ৩ জুন : গরমে একপ্রকার নাজেহাল পরিস্থিতি। তবে কাজের প্রয়োজনে তো বাইরে বেড়তেই হবে। তাই গরমে একটু স্বস্তি পেতে খাবার-দাবারের দিকে যেমন নজর দেওয়ার প্রয়োজন, তেমনই পোশাকের দিকেও কিন্তু নজর রাখা দরকার। গরমের দিনে আরামদায়ক পোশাক পড়লে অস্বস্তি কিন্তু অনেকটাই কমে। তাই এই সময় পোশাকের দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন।
গরমে স্টাইলিশ লুক পেতে যে জিনিসগুলি মাস্ট
বেছে নিন হালকা আরামদায়ক পোশাক
গরমের দিনে যেহেতু প্রচুর ঘাম হয়, তাই এই সময় খুব সহজেই ঘাম শুষে নিতে পারে এমন পোশাক পড়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সুতির পোশাক সবথেকে ভালো। তাই এই সময় সুতির কাপড় বেছে নিতে পারেন। পাতলা সুতি কাপড় খুব তাড়াতাড়ি ঘাম শুষে নিতে পারে। এছাড়া এ ধরনের কাপড় অন্যান্য কাপড়ের থেকে গরমের অনুভব কমায়। সুতির কাপড়ের সালোয়ার কামিজ, কুর্তি যেমন ঘরে পরা যায় তেমনি গ্রীষ্মের সময়ে অফিস কিংবা যেকোনও প্রয়োজনে বাইরে বেড়লে পরা যেতে পারে।
গরমের দিনে যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিত। গরমে ঢিলেঢালা সালোয়ার কামিজের সঙ্গে প্লাজো বেশ আরামদায়ক। এতে পর্যাপ্ত বাতাস যেমন শরীরে প্রবেশ করতে পারে তেমনি দেখতেও বেশ ট্রেন্ডি লাগে। কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি গেলে কটনের শাড়িও বেছে নিতে পারেন। তবে সিল্ক, জর্জেট এ জাতীয় কাপড় গরমের সময় যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
এছাড়াও এই সময় স্কার্ট, জিন্স, টপস কিংবা ফতুয়াও এই গরমে বেশ আরামদায়ক। তবে যেই পোশাকই পরুন না কেন সেটা যেনো আঁটোসাঁটো না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। নাহলে গরমে আপনার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে। অন্যদিকে যারা ঘরে থাকেন তারা সুতির কাপড়ের গেঞ্জি পরতে পারেন। লং গেঞ্জি কিংবা শার্টের সঙ্গে প্লাজো আপনার গরম কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
গরমের সময় ছেলেদের পোশাকে ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। যারা অফিস করেন তারা এই সময় লম্বা হাতার শার্টের জায়গায় শর্ট হাতার শার্ট বেছে নিতে পারেন। এই সময় কলার টি-শার্টের জায়গায় গোল গলার টি-শার্ট বেশি আরামদায়ক। তবে টি-শার্টের ক্ষেত্রে সুতির কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো। কাপড় পাতলা হলে ঘাম যেমন শুষে নেবে খুব সহজে তেমনি গরম থেকেও রেহাই মিলবে। তবে গরমের দিনে ছেলে-মেয়ে উভয়কেই পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন সুতির পোশাককে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে, তেমন রঙের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এই সময় বেশি গাঢ় অথবা জমকালো রঙের পোশাকের পরিবর্তে হালকা রঙের পোশাক বেছে নিতে হবে। এতে যেমন গরমে আরাম মিলবে তেমনই অস্থির ভাবও কমবে।