ব্যুরো নিউজ, ৪ মার্চ: ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এক সম্মেলনে নিজের করা মন্তব্যের দরুন বিতর্কে জড়ান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র উদয়নিধি স্টালিন। সেখানে উদয়নিধি স্টালিন বলেন, সনাতন ধর্ম সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের বিরোধী। তাই এর নির্মূল করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি সনাতন ধর্মকে তিনি ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া রোগের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। তার এই মন্তব্যে সরব হয় বিজেপি-সহ হিন্দুত্ববাদী দল ও সংগঠনগুলি। পাশাপাশি দেশব্যপি এক বিরূপ চর্চার সৃষ্টি হয়। তীব্র সমালোচনাড় ঝড় ওঠে। অভিযোগ ওঠে তার এই মন্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।
সনাতন প্রথা নিকেশের কথা বলে বিতর্কে জড়ান স্ট্যালিন-পুত্র। সেই জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর এবং মহারাষ্ট্রেও মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে, সমস্ত এফআইআরগুলিকে একত্রিত করে মামলার শুনানি করার অনুরোধ করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। হাইকোর্টে হোঁচট মহুয়ার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনাে মুখে পড়েন তামিলনাড়ুর মন্ত্রী উদয়নিধি স্টালিন। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তর বেঞ্চ স্পষ্ট জানান, একজন মন্ত্রী হিসাবে কোথায় কি কথা বলতে হবে এবং তার পরিণাম কী হতে পারে, সেই সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকা উচিত। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯-এর ১-এর (এ) ধারায় যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, উদয়নিধি স্টালিন তার অপব্যবহার করেছেন। আর এখন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২-এর অধীনে আপনার অধিকার প্রয়োগ করতে চাইছেন? এমনই কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিচারপতি। পাশাপাশিিএও প্রশ্ন করেন আপনি যা বলেছেন তার পরিণাম আপনি জানেন? আপনি একজন মন্ত্রী। আপনার এর পরিণাম অবশ্যই জানা উচিত। এদিন একজন মন্ত্রী হয়ে তার এই অবিবেচক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্য কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতির বেঞ্চ।এদিন বিভিন্ন রাজ্য থেকে করা একাধিক মামলার থেকে অব্যাহতির আবেদনও জানান স্টালিনের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু এদিন কোনও রায় দেয়নি আদালত। তবে জানানো হয়, আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি রাখছে আদালত।