ব্যুরো নিউজ, ২৯ এপ্রিল: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৫,০০০ চাকরি চলে যাওয়া শিক্ষকদের মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সেখানে আবার ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় -এর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় বেআইনি জেনেও কেন সুপার নিউ মেরারি পোস্ট তৈরি করা হলো। অর্থাৎ বেআইনিভাবে চাকরিপ্রার্থীদের বাঁচাতে রাজ্য সরকার কেন অতিরিক্ত পথ তৈরি করল সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রচুর। একইসঙ্গে তিনি বলেন বেআইনি চাকরি দেওয়া অন্যায়। এদিন তার পর্যবেক্ষণে বলেন OMR শিট ধ্বংস করা হয়েছে। আর এখানেই প্রাথমিকভাবে বোঝা গেল রাজ্য সরকারের ওই চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। সে বিষয়টি এড়াইনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের চোখ।
অষ্টমবার বঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
বাঁচার কোন রাস্তা নেই ,কেন ধাক্কা রাজ্যের?
সোমবার ওই মামলায় একদিকে যেমন রাজ্য সরকার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে বাঘা বাঘা আইনজীবীদের নিয়োগ করা হয়েছিল অপরদিকে শুধুমাত্র কলকাতা থেকে দুই আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ও ফেরদৌস শামীম সাওয়াল করেছেন ওই বেআইনি নিয়োগের বিরুদ্ধে। আর রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে সাওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি, মুকুল রোয়াদগি, পার্থ সারথি দেব বর্মন ও পি এস পাটোয়ারী। কিন্তু ওই মামলার যে বিস্তারিত রায় কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল তার ছত্রে ছত্রে দুর্নীতির ছাপ স্পষ্ট ছিল।
কলকাতা হাইকোর্ট যখন দীর্ঘদিন ধরে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে সফল ও দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা চেয়েছিল তখন তা দিতে ব্যর্থ হয় রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। এমনকি জানা যায় OMR শিট যা পরীক্ষার্থীদের ফলাফলের মূল ডকুমেন্ট সেটি নষ্ট করা হয়েছে এমনকি তার স্ক্যান রিপোর্ট ও জমা দিতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্টে। আর এর পরই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মোহাম্মদ সাব্বারুর রশিদী জানিয়ে দেন যে ওই নিয়োগ তারা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করছেন যেখানে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ হয়েছিল। এরপরই শুরু হয় চাপানুতোর।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ওই চাকরি প্রাপকদের অনেকেই সৎভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের কেন বাতিল করা হলো। কিন্তু আদালত যে OMR শিটের ভিত্তিতে চাকরি বৈধ বলতে পারে তা হাতে পায়নি রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বারবার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা আদালতকে জমা দেয়নি। এখানেই পার্থক্য করে দেয় মূল মামলার।