ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি:২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আবারও বিপত্তিতে পড়ল ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের রকেট। এইবার, স্পেসএক্সের ‘স্টারশিপ’ রকেটটি উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছে। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল ধ্বংসাবশেষ, যা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছিল। এর প্রভাব পড়েছে আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশে, বিশেষ করে বিমান পরিষেবায়। একাধিক বিমানকে রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে এবং কিছু বিমান বাধ্য হয়ে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
যৌন উত্তেজক ও মদ্যপানের মিশ্রণে মৃত্যু হল ৩০ বছর বয়সী এক যুবকের
আট মিনিটের মধ্যে রকেটটি ভেঙে পড়ে
উৎক্ষেপণটি হয়েছিল দক্ষিণ টেক্সাসের স্পেসএক্স উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী ৫টা ৩৮ মিনিটে। তবে উৎক্ষেপণের মাত্র আট মিনিটের মধ্যে রকেটটি ভেঙে পড়ে। এ সময় তার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্পেসএক্সের প্রধান, ডান হুয়ট জানিয়েছেন যে, উৎক্ষেপণের কিছু সময় পরই তাদের সঙ্গে স্টারশিপের যোগাযোগ কেটে যায় এবং তখন তারা বুঝতে পারেন যে কিছু সমস্যা হয়েছে, যার ফলে রকেটটি ধ্বংস হয়ে যায়। এর পরেই আকাশে বিস্ফোরণ ঘটে এবং রকেটের ধ্বংসাবশেষ দ্রুত নীচে নেমে আসে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গেছে, হাইতির আকাশে আগুনের গোলা ছড়িয়ে পড়ছে, সঙ্গে রয়েছে কালো ধোঁয়া।স্পেসএক্সের রকেটের এই বিপর্যয়ের কারণে মেক্সিকো উপসাগরের আশপাশে বিমান পরিষেবা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অনেক বিমানকে অবতরণ করানো হয় এবং প্রায় ২০টি বিমানের রুট পরিবর্তন করতে হয়। অন্য বিমানবন্দরগুলোতে সেগুলি অবতরণ করা হয়। তবে, স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক হতাশ নন।
শীতকালে পরিবারের সঙ্গে একদিনের পিকনিকের আদর্শ স্থান কলকাতার কাছাকাছি পুজালির পার্ক
তিনি সামাজিক মাধ্যমে রকেটের ধ্বংসাবশেষের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘সাফল্য অনিশ্চিত, তবে ষোলো আনা বিনোদনের নিশ্চয়তা আছে।’’ এটি স্পেসএক্সের দ্বিতীয়বারের মতো রকেটের দুর্ঘটনা, যেটি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে ছিল। তখনও মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ে রকেটটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, এবং তার ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরের ওপর পড়ে। তবে সেই সময়ে বিমান পরিষেবায় তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।স্পেসএক্সের রকেট বিপর্যয়ের কারণে যাত্রীদের কষ্ট হলেও, স্পেসএক্স তার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।