ব্যুরো নিউজ, ৬ জুন : ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পর এক্সিট পোলে যেভাবে গেরুয়া ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল রেজাল্টে কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটেনি। এমনকি ২০১৯ এ এরাজ্যে বিজেপি ১৮টি আসনে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু ২৪ এ সেই আসন সংখ্যা বাড়ানোর টার্গেট থাকলেও আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২ এসে দাঁড়িয়েছে। আর এই ফল যে গেরুয়া শিবিরের কাছে একেবারে অপ্রত্যাশিত তা ফল প্রকাশের পর থেকেই বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর এবার এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
অখিলেশের বাসভবনে অভিষেক! ৪৫ মিনিটের বৈঠক! আবার অভিষেকের কাছে রাঘব! কি ‘খেলা’ চলছে?
তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং-এর অভিযোগ সৌমিত্রর
‘ভোটের আগেই আমাদের অঞ্চল, জেলা থেকে রাজ্যস্তরের একাংশ নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছিলেন। তাই বাংলায় বিজেপির এত খারাপ ফল। তা না হলে আরও ৪টে সিট পেতাম।’ তার এই মন্তব্য কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চর্চা।
২৪ এ বাংলা থেকে ৩০টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল বিজেপির হাই কমান্ড। কিন্তু বিজেপির ঝুলিতে গেছে মাত্র বারোটি আসন। যেখানে ২০১৯ এ আসন সংখ্যা ছিল ১৮। আর এই ফলের জন্য সৌমিত্র খাঁ দায়ী করছেন দলেএ নীচু তলা থেকে রাজ্যের শীর্ষস্তরের একাংশ নেতাকে।
‘শুভেন্দু’দা চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু টিম ঠিক ছিল না। কিছু অযোগ্য লোক বসিয়ে দিলে রাজ্য চলে না।’ রাজ্যে বিজেপির খারাপ ফল প্রসঙ্গে নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ যদি মেদিনীপুর থেকে দাঁড়াতেন তাহলে জিততে পারতেন বলেও মত বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁর। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আশানরূপ ফল না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ আরো বলেন, ‘ভোট শেষ হওয়ার পর থেকে আমি প্রতি মুহূর্তে স্ট্রংরুমে নজর রেখেছিলাম। এদিকে নজর দেননি বলেই এবারে অনেক রথী মহারথীকে হারতে হল।’