ব্যুরো নিউজ, ১ এপ্রিল : বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য এতদিন মূল গন্তব্য ছিল কলকাতা বা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল। ভালো চিকিৎসা সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ার সুবিধার কারণে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতে বাংলাদেশি রোগীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলেছে।সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়েছে, যার অন্যতম কারণ সংখ্যালঘু নির্যাতন ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এর ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের মেডিকেল ভিসা দেওয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে। এতে সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ, বিশেষ করে যারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বাস ও হেল্পলাইন পরিষেবা: ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু
এই সুযোগ কাজে লাগাতে বড় পরিকল্পনা নিয়েছে চিন। বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুনমিং শহরের চারটি হাসপাতালকে বিশেষভাবে ডেডিকেটেড ঘোষণা করেছে বেইজিং। তবে চিনে চিকিৎসা করাতে গেলে খরচ অনেক বেশি পড়ে, যা সাধারণ বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
পাঞ্জাব বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু, আপ সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের
এ সমস্যা সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম-কুনমিং সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, যাতে যাতায়াত খরচ ও সময় কমানো যায়। চিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসা ব্যয় কমানোর পাশাপাশি হাসপাতালের ফ্লোর ডেডিকেটেড করা হবে। তারা স্থানীয়দের মতোই কম ফি দিয়ে চিকিৎসা পাবেন
দিনে দিনে সোনা রুপোর দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে,সেখান থেকে সামান্য স্বস্তি মঙ্গলবারে
চিনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলাম জানিয়েছেন, কুনমিং প্রশাসন বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করেছে। তবে মূল সমস্যা হলো যাতায়াত খরচ। অনেক বাংলাদেশি ইতিমধ্যেই চিকিৎসার জন্য কুনমিং গিয়েছেন, কিন্তু যাতায়াত ব্যয় এত বেশি যে অনেকেই ভবিষ্যতে চিনে চিকিৎসা করাতে আগ্রহী নন। ফলে তারা কলকাতা বা ভারতের অন্য হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে চান।এই অবস্থায় চিন কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের বিকল্প হিসাবে চিন যে নতুন দরজা খুলতে চাইছে, তা স্পষ্ট।
