ব্যুরো নিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারি: কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিটাও গত দু’বারের থেকে কিছু আলাদা নয়। ফের শুভেন্দুর পথ আটকালো রাজ্য সরকারের ‘পোষা’ পুলিশ।
ইডির হাতে গ্রেফতার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়
এর আগেও দু’বার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দু’বারই পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাকে। ১২ ফেব্রুয়ারি বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু, সেখান থেকেই বাস সমেত ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। এরপর সন্দেশখালির রামপুরে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থানেও বসে পড়েন তিনি। ১৪৪ ধারাকে হাতিয়ার করেই সন্দেশখালিতে ধুক্তে দেওয়া হয়নি তাকে। কিন্তু ১৪৪ ধারা লাগু থাকলেই ৪ জনের একসঙ্গে যেতে কোনও বাধা থাকে না। কিন্তু সেখানেও পুলিশের একই গান। তিনি এলাকায় প্রবেশ করলে অনেক লোকের জমায়েত হবে, এই অজুহাতেই আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে।
কিন্তু ততক্ষণে সেই জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। অবশেষে রাজ্যের ‘সাফাই’ শুনে গতকালই শুভেন্দুর পক্ষেই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জানায়, শুভেন্দু অধিকারির সন্দেশখালি যেতে কোনও বাধা নেই।
সেই মতো আজ সন্দেশখালির পথে রওনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এরপরেও সন্দেশখালির আগে ধামাখালিতেই আর পথ আটকায় পুলিশ। ব্যরিকেড দিয়ে পথ রুখে দেওয়া হয়। উপস্থিত পুলিশের কর্তা-ব্যক্তিরা। ঘটনায় পথেই বসে পড়েন শুভেন্দু। সেখান থেকেই তার হুঙ্কার, যেতে না দিলে এভাবেই অবস্থানে বসে থাকবেন তিনি। পাশাপাশি ফের আইনি লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি। বারবার তার পথ আটকানো হলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না। ফের হাইকোর্টে যাবেন।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=358869043641521&id=100044248758125&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f
কিন্তু এদিকে গতকালের রায়েকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও ফের ধাক্কা রাজ্যের। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, তাকে আটকানো যাবে না। বরঞ্চ রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি নিয়ে যেতে হবে।