ব্যুরো নিউজ, ১৯ ফেব্রুয়ারি:চতুর্থ শতাব্দীর প্রখ্যাত মারাঠা রাজা এবং মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চতুর্থ শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী প্রতি বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হয় যাকে শিব জয়ন্তীও বলা হয়, ভারতের ইতিহাসের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষত মহারাষ্ট্র রাজ্যে। তিনি শুধু একজন মহান যোদ্ধা রাজা ছিলেন না, বরং তিনি স্বরাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অগ্রগামী চেতনা।১৯ ফেব্রুয়ারি ১৬৩০ সালে শিবাজী মহারাজ জন্মগ্রহণ করেন। এই বছর, ২০২৫ সালে, তাঁর ৩৯৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হবে, যা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি পড়ছে।
কাশী তামিল সঙ্গম ২০২৫ঃ ঐতিহ্য, সংযোগ ও আধ্যাত্মিকতা
চতুর্থ শিবাজী মহারাজের ইতিহাস ও তাৎপর্য
শিবাজী মহারাজ শিবাজী ভোসলে নামে পরিচিত, যার জীবনকাল ১৬৩০ থেকে ১৬৮০ সাল পর্যন্ত। তিনি মারাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ যোদ্ধা, প্রগতিশীল নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, এবং স্বরাজের জন্য সংগ্রামী। তাঁর শাসন ব্যবস্থায় জনগণের জন্য ন্যায়বিচার, নীতি, এবং ভালো শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা তাকে এক জাতীয় নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী প্রথম ১৮৭০ সালে উদযাপিত হয়, রাইগড় দুর্গে তাঁর সমাধি আবিষ্কৃত হওয়ার পর। পরবর্তীকালে, স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলক তাঁর অবদানগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য এই উদযাপনকে আরও ব্যাপকভাবে শুরু করেন, যাতে ভারতীয়দের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় শিবাজীর আদর্শ এবং প্রভাব আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শিবাজী মহারাজের জয়ন্তী উদযাপন
চতুর্থ শিবাজী মহারাজের জয়ন্তী উপলক্ষে, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে শিব জয়ন্তী যাত্রার আয়োজন করা হয়, যেখানে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং “জয় ভাওয়ানি, জয় শিবাজী” স্লোগান দিয়ে শিবাজীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। এই দিনটি শুধু রাজ্যের মধ্যে নয়, পুরো দেশে একটি বিশাল আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়।
ফের কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইনে চারদিনের ট্রাফিক ব্লক, জানুন বিস্তারিত
উপসংহার
শিবাজী মহারাজের জন্মজয়ন্তী শুধু একটি ঐতিহ্য নয়, এটি আমাদের শেখায় যে কীভাবে একজন শক্তিশালী নেতা, ন্যায়বান, এবং সদয় শাসক হিসাবে শিবাজী মহারাজের মতো ইতিহাসের মহান ব্যক্তিত্বরা দেশের জন্য একটি স্থায়ী অবদান রেখে যান। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে, প্রতিবছর ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন অংশে তার জন্মজয়ন্তী আয়োজিত হয়।