ব্যুরো নিউজ ৩ অক্টোবর: মহারাষ্ট্রে শিরডি সাঁইবাবার মূর্তি সরানো নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর কয়েকটি মন্দির থেকে সাঁইবাবার মূর্তি অপসারণ করা হয়েছে। এর জেরে কংগ্রেস ও বিজেপি একযোগে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।
বিজেপি নেত্রীর থানায় ধর্নাঃ ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল বাঁশদ্রোণী
সাঁইবাবাকে নিয়ে চলছে রাজনীতি
কংগ্রেসের দাবি, এই ঘটনার পেছনে ‘সন্তান রক্ষক দল’ নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনের সদস্যরা দাবি করেন, সাঁইবাবা দেবতা নন, বরং একজন মানুষ। তাই মন্দিরে দেবতাদের সঙ্গে তাঁর পুজো করা যাবে না। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা বালাসাহেব থোরাট বলেন, “সাঁইবাবা জাত, বর্ণ ও ধর্মের ঊর্ধ্বে ছিলেন। বারাণসীতে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক।বিজেপি এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নামলেও, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্র বিজেপির প্রধান চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বুধবার বলেছেন, সাঁইবাবা একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তার মতো সাধককে অপমান করার অধিকার কারও নেই। তিনি সাঁইবাবার মূর্তি অপসারণের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি করেছেন।উল্লেখ্য, উনবিংশ শতকের গোড়ায় সাঁইবাবার কর্মকাণ্ড ছিল মহারাষ্ট্রের আহমদনগর জেলার শিরডিতে। তিনি ছিলেন একজন যোগী ও ফকির। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ভক্তরা তাঁকে সন্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। হিন্দু ভক্তেরা তাকে দত্তাত্রেয়ের অবতার হিসেবে মনে করতেন, এবং অনেক ভক্তের মতে তিনি ছিলেন সদগুরু, সুফি পির বা কুতুব।সারা বছর গোটা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শিরডির সাঁইবাবার মন্দিরে দর্শন করতে যান। সাঁইবাবার মন্দির ও আশ্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ‘শ্রী সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট’, যা মহারাষ্ট্রজুড়ে নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-পড়ুয়ার হত্যাঃ রহস্যময় ঘটনার খোঁজে সিবিআই
এদিকে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে উত্তরপ্রদেশের মন্দির থেকে সাঁইবাবার মূর্তি অপসারণের ঘটনায় বিজেপি বিপাকে পড়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়বে।