ব্যুরো নিউজ ৫ আগস্ট ২০২৫ : এবার থেকে পর্যটকরা আকাশপথে দার্জিলিংয়ের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া, সান্দাকফুর বরফ ঢাকা উপত্যকাকে পাখির চোখে দেখা, কিংবা মিরিক লেকের উপর দিয়ে পাক খাওয়া—এমন রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে চলেছেন পর্যটকেরা। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর উদ্যোগে খুব শীঘ্রই এই হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
হেলিপোর্ট তৈরির উদ্যোগ
জিটিএ সূত্রে জানা গেছে, পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য পাহাড়ে হেলিপোর্ট তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতর এই প্রকল্পের জন্য বিস্তারিত রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করছে। হেলিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে সেখানে একাধিক হেলিপ্যাড, ল্যান্ডিং ব্লক, হোটেল, ক্যাফেটেরিয়া এবং বিনোদনের অন্যান্য ব্যবস্থা থাকবে। এর ফলে পর্যটকরা শুধুমাত্র হেলিকপ্টার রাইডই নয়, একইসঙ্গে অন্যান্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও পাবেন।
Darjeeling : ভিড় এড়িয়ে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে এক অন্যরকম ভ্রমণের ঠিকানা
সিকিমের সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা
সিকিমে চালু থাকা হেলিকপ্টার পরিষেবা ইতিমধ্যেই পর্যটকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সিকিম পর্যন্ত হেলিকপ্টার পরিষেবা যেমন জনপ্রিয়, তেমনই গ্যাংটক এবং পেলিং থেকে আকাশপথে সিকিম ভ্রমণের রাইডগুলিও ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, এই পরিষেবা পেতে হলে এক থেকে দেড় মাস আগে থেকে আসন বুকিং করতে হয়। দার্জিলিংয়েও একই রকম চাহিদা তৈরি হবে বলে আশা করছে জিটিএ এবং রাজ্য সরকার।
বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘার অবমাননায় উত্তাল সিকিম !
মিরিকের পুরোনো হেলিপ্যাড নতুন রূপে
১৯৯১ সালে সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে মিরিকে একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল, যা বহু বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলকে হেলিকপ্টার পরিষেবার আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন করে তৈরি হওয়া মিরিকের হেলিপ্যাডে একটি মহড়াও হয়েছিল, যদিও এরপর প্রকল্পটি আর এগোয়নি। এবার নতুন করে এই পরিষেবা চালু হলে দার্জিলিংয়ের পর্যটনে এক নতুন জোয়ার আসবে বলে মনে করছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। এই পদক্ষেপ দার্জিলিংকে পর্যটনের মানচিত্রে আরও উচ্চ স্থান দেবে এবং পর্যটকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে।