ব্যুরো নিউজ,২৮ মার্চ : ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে সইফের বাড়িতে সইফ আলি খানকে নিয়ে ঘটে যাওয়া মারাত্মক হামলার ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন তাঁর কন্যা সারা আলি খান। সেই দিন গভীররাতে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়েছিল চুরির উদ্দেশ্যে। কিন্তু বাধা দেওয়ায় সইফের উপর ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সইফের শারীরিক অবস্থা তখন বেশ সংকটজনক ছিল। সেই রাতে নিজের অনুভূতি নিয়ে সারা আলি খান বলেছেন, “আমি ভেঙে পড়েছিলাম। এর চেয়ে বেশি আমার মনে নেই। ভয়ের মধ্যে পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। তবে সৌভাগ্যবশত পরিস্থিতি খুব জটিল হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ১৫-২০ মিনিটের সময়টা মনে হচ্ছিল, একেবারে গোটা জীবন শেষ হয়ে গেল। তবে কিছু সময় পর আমরা স্বস্তি পেয়েছিলাম।”
রাম নবমীতে অস্ত্র মিছিল: দিলীপ-শুভেন্দুর বক্তব্যে সায় দিল আরএসএস, পাল্টা তৃণমূল
ভীতি ও চাপের মুহূর্ত সারা আলি খানের জীবনে এক গভীর ছাপ ফেলেছে
সারা আলি খান জানালেন যে, সইফ আলি খান কঠিন মুহূর্তগুলো খুব ঠান্ডা মাথায় সামাল দিতে জানেন। সারা বলেছেন, “চাপের মুহূর্তে অন্যদের তুলনায় বাবা অনেক ভালোভাবে পরিস্থিতি সামলান। আমি তো খুব ভয় পেয়ে যাই, কান্নাকাটি করি। কিন্তু বাবা এসব সময়ে নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। তিনি কোনো কিছুতেই হার মানেন না।”
এই ঘটনার পর পরবর্তী দিনগুলিতে সারা যখন হাসপাতালে বাবার পাশে ছিলেন, তখন তাঁর মনে শান্তির এক অনুভূতি ছিল। সারা জানালেন, “বাবা যে একজন যোদ্ধার মতো পরিস্থিতি সামলান, সেটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। তিনি সব সময় ভেঙে না পড়ার চেষ্টা করেন। বাবা হিসাবে তিনি আমাদের কাছে পরিপূর্ণ একজন সাহসী মানুষ।”
দুঃখ কষ্টের দিন শেষ শনি গ্রহের সুদৃষ্টিতে মালামাল হতে চলেছে এই রাশিগুলি, আপনিও আছেন কিনা জেনে নিন
সইফের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সারা বলেন, “বাবা এমনই। তিনি চার সন্তানের বাবা, যার মধ্যে দুইজন শিশু। তাই বাবার চেষ্টা ছিল আমাদের সামনে সবকিছু স্বাভাবিক রাখার। তিনি সব সময় সাহসী মুখে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেন, যেন কিছুই হয়নি।” এই ঘটনাটি সারা আলি খানের কাছে জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হলেও, এই ভীতি ও চাপের মুহূর্ত সারা আলি খানের জীবনে এক গভীর ছাপ রেখে গেছে।