ব্যুরো নিউজ, ২৮ নভেম্বর : ভারতে মোট ১০৬টি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। যেগুলির উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বন্যপ্রাণের সুরক্ষা। এগুলির মধ্যে কিছু উদ্যান সাফারি করার জন্য পরিচিত। যেখানে পর্যটকরা অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে পারেন। তবে বাঘের রাজ্যে পায়ে হাঁটা নয় বরং সাফারির মাধ্যমে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করতে হয়। শীতে ভারতে কিছু বিশেষ জাতীয় উদ্যান রয়েছে যেখানে আপনি সাফারির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী দেখতে যেতে পারেন।
প্রতিদিন ঘরে দই পাতেন ? ঘরে দই পাতা খারাপ নাকি ভালো জানেন তো ?
ভারতের জনপ্রিয় ৫টি জাতীয় উদ্যান
১. জিম করবেট জাতীয় উদ্যান
উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে অবস্থিত এই উদ্যানটি ভারতের প্রথম জাতীয় উদ্যান। ৫২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে থাকা এই উদ্যানের ২০০টির বেশি বাঘ রয়েছে। এছাড়া এখানে হাতি, চিতা, নীলগাইসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী দেখা যায়। এখানে ৬টি সাফারি জোন রয়েছে, এবং পর্যটকরা সকাল অথবা বিকেলে সাফারি বুক করতে পারেন।
২. তাড়োবা জাতীয় উদ্যান
মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার এই উদ্যানটি বাঘদের জন্য খ্যাত। এখানে শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য রয়েছে, যেখানে আপনি বাঘ, হাতি, এবং নানা ধরনের পাখি দেখতে পাবেন। তাড়োবা উদ্যানের গহীনে সাফারি করতে ৩টি জোন রয়েছে। সাফারি সময় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থাকে।
তমলুকের ৩৫০ জন মহিলা পাচ্ছেন না লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা, ডিসেম্বরে কি মিলবে সমাধান?
৩. পেঞ্চ জাতীয় উদ্যান
মধ্যপ্রদেশের পেঞ্চ উদ্যানটি ‘জঙ্গল বুক’-এর মোগলি চরিত্রের প্রেরণা ছিল। এখানে বাঘ, হরিণ, নেকড়ে, চিতা ও ময়ূরের মতো প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। ৮টি সাফারি জোনের মধ্যে আপনি সহজেই প্রবেশ করতে পারেন। সাফারি সময় সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
৪. কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান
অসমের এই উদ্যানটি একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিখ্যাত। এখানে বাঘ, বাইসন, হাতি, এবং নানা ধরনের পাখি দেখা যায়। কাজিরাঙা ইউএনএসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্গত এবং এখানে সাফারি হয় জিপ ও হাতির পিঠে।
৫. গির জাতীয় উদ্যান
গুজরাতের গির উদ্যানটি এশিয়াটিক সিংহের জন্য খ্যাত। এখানে ৫০০-এরও বেশি সিংহ বাস করে। সিংহের পাশাপাশি, হরিণ, লেপার্ড, এবং ৩০০ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এখানে সাফারি ৩টি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সাফারি সংক্রান্ত পরামর্শ:
১. সাফারি বুকিং আগেই করা উচিত, বিশেষ করে পর্যটন মরসুমে অতিরিক্ত ভিড় থাকতে পারে।
২. পরিচয়পত্র নিয়ে যেতে ভুলবেন না, সাফারি বুকিং থাকলেও তা ছাড়া প্রবেশ করা যায় না।
৩. সাফারির জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সঠিক সময়ে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই ৫টি উদ্যানের মধ্যে শীতকালে যেকোনো একটি বেছে নিয়ে আপনি সাফারি উপভোগ করতে পারেন।