ব্যুরো নিউজ,১৯ আগস্ট:দেশের সব রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে দিল্লিতে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে মূলত দেশজুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে বিজেপির এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেখানে প্রথম সদস্য হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে এই অভিযান শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে এক্ষুনি রাজ্য নেতৃত্বকে পুরোপুরি নামতে বলা হয়নি।
Rg kar case: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে বলিউড তারকারাও
অভিযানের নেতৃত্বে সাংসদ ও মুখপাত্র শমীক:
Rg kar case:দুর্গাপূজোয় ৮৫ হাজার টাকা অনুদান প্রত্যাখ্যান একাধিক ক্লাবের। বেজায় রেগে কুনাল
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দেশজুড়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে এক্ষুনি তা কার্যকরী করা যাবে না। ১ সেপ্টেম্বর বাংলার রাজ্য বিজেপির রাজ্য স্তর এবং জেলা স্তরের নেতারা প্রাথমিক সদস্য পদ নেবেন। কিন্তু বুথ স্তর বা মন্ডল স্তরে গিয়ে এক্ষুনি এই অভিযান চালু করা হবে না। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপিকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপির প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরজিকর কাণ্ডে শাসক বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে। আরজি কর ইস্যুতে রাজ্য বিজেপি যেন একেবারে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের কর্মসূচিতেই থাকে। সে ক্ষেত্রে সদস্য সংগ্রহ অভিযান পিছিয়ে পড়লেও পশ্চিমবঙ্গকে এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে।
RG Kare case:প্রতিবাদে ভয়?১৬৩ ধারা লাগু আরজি কর চত্বরে, পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিকাশের
বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৬ বছর অন্তর দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়। দলের যে কোনো স্তরের নেতা বা জনপ্রতিনিধি, যারা দলীয় পদাধিকারী রয়েছেন, তাদের প্রত্যেককেই ৬ বছর অন্তর দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়। কারণ বিজেপির নীতি এবং আদর্শের উপর তিনি এখনো বিশ্বাসী কিনা, তা নিশ্চিত করতেই বিজেপির সাংগঠনিক নিয়মে এটা রয়েছে। সেই কারণেই ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করবেন। তারপর দেশ জুড়ে শুরু হবে এই অভিযান। তবে পশ্চিমবঙ্গের বুথ এবং মন্ডল স্তরের কর্মীদের ক্ষেত্রে এই অভিযান এক্ষুনি শুরু করা হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত অভিযানের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ এবং মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। এই প্রসঙ্গে শমীক বলেন, ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন সমস্তটাই জানানো হবে।’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শমীকের ওপরেই সম্পূর্ণ অভিযানের দায়িত্ব দেওয়ায় শমীককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দল যা ভেবে দায়িত্ব দিয়েছে সেটা পালন করব। তবে এটুকু বলতে পারি আগামীতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য বিজেপির বহু পুরনো সক্রিয় নেতা এবং দলের মুখপাত্র। সম্প্রতি তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই অভিযানের দায়িত্ব তার উপরেই দিয়েছে।