ব্যুরো নিউজ, ৯ সেপ্টেম্বর :কলকাতার পুজোর বাজারে এই বছর বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গড়িয়াহাটের ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় কমে গিয়েছে, এবং দোকানদারদের সেই চরম ব্যস্ততাও নেই। ফুটপাতের উপর দাঁড়ালে দেখা যায়, বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাত প্রায় ফাঁকা। দোকানে এক-একজন ক্রেতা দাঁড়িয়ে থাকলেও, বাজারে ব্যবসায়ীদের ‘কম দাম’ বলে প্রচার করলেও তার তেমন কোনো প্রভাব পড়ছে না।
আরজি কর কাণ্ড: নির্যাতিতার মা বললেন গোটা রাজ্যবাসী তার ‘পরিবার’
দোকানদার মাথায় হাত
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা!দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন এলাকায় সতর্কতা জারি করল আলিপুর?
কলকাতা শহরের পুজো শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। তবে, এই সময়ে শহরের বাজার ঘুরে পুজোর কোনও বিশেষ আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। উত্তরের হাতিবাগান থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট পর্যন্ত ছুটির দিনগুলোতেও বাজার প্রায় ক্রেতাশূন্য। আর জি কর-কাণ্ডের জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিষণ্ণতা ও প্রতিবাদের ঢেউ লেগে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের মনে এই বছরের পুজোর বাজার জমবে কিনা, সে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে।
পানিহাটি থেকে আরজি কর প্রায় ১৪ কিমি রাস্তা জুড়ে মানববন্ধন
রবিবার সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি বৃষ্টির পর গরম কিছুটা কমেছে। কিন্তু হাতিবাগান এলাকায় ক্রেতার ভিড় বাড়ার বদলে, এই এলাকা প্রতিবাদ মিছিলে ব্যস্ত। আর জি কর মেডিক্যাল হাসপাতালের কাছে হাতিবাগান চত্বরে বিকেল ৫টা নাগাদ দেখা যায়, ফুটপাতের স্টল থেকে বড় দোকান পর্যন্ত জনা কয়েক ক্রেতা ঘোরাঘুরি করছেন। পুজোর কেনাকাটার সেই চেনা কোলাহল একেবারেই নেই। দোকানে বসে থাকা এক ব্যবসায়ী বললেন, “বাজার দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাস হচ্ছে না।”
ফুটপাতে থাকা দোকানগুলিতেও ক্রেতার সংখ্যা তেমন নেই। বিকেলে ওই চত্বরে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়েছিল। ফলে, কেনাকাটার জন্য আসা অনেকেই দোকান ঘোরার বদলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন। গড়িয়াহাটের এক ব্যবসায়ী, পাটু সাহা মন্তব্য করলেন, এই সময়ে বিকেলে গলিতে ঢোকা যেত না। রাত ৯টা পর্যন্ত ভিড় থাকত। আর এখন যা অবস্থা, মনে হচ্ছে যে কোনো কিছুই দেখা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের পরেও জহর তার ইস্তফার সিদ্ধান্তে এক চুলও নড়লেন না
গড়িয়াহাট মোড়ে ভিড় সামলাতে পুলিশ বুম ব্যারিয়ারের পাশাপাশি দড়ির ব্যবহার করছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যও নিয়মাবলী কঠোর করা হয়েছে। এ বছরের পুজোর বাজার নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীদের মনে প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পুজোর মৌসুমে বাজারের অবস্থান কেমন হবে।এমনকি একজন দোকানদার বললেন, ‘তিন সপ্তাহ পর মহালয়া, কিন্তু সারা সপ্তাহে তো লোকজন আসছেনই না, ছুটির দিনেও শুধু প্রতিবাদ মিছিল’।