ব্যুরো নিউজ, ৩ জুলাই : রেশন দুর্নীতি মামলায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য- রাজনীতি। এই রেশন দুর্নীতি মামলাতেই সিংহাসনচ্যুত হয়ে গারদে ঠাই হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমেই সন্দেশখালিতে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কাউটে সাপের সন্ধান পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু জ্যোতিপ্রিয়ই নন, শ্রীঘরে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী তথা কোটি কোটি টাকার মালিক বাকিবুরও। বাকিবুরের সূত্র ধরেই একাধিক চাল কল ও চাল কল মালিকের সন্ধান পেয়েছে এজেন্সি। সব মিলিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার রেশন দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল ED। আর এবার তারই তথ্যপ্রমান চাইল আদালত।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ও বিশ্বজিৎ দাসকে। ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ, গত এপ্রিল মাসে রেশন দুর্নীতি মামলার তৃতীয় চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেই চার্জশিটে বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে, ১১০ কোটি টাকার সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়।
আদালতে সওয়াল জবাবে বিশ্বজিৎ দাসের আইনজীবী শ্যামল ঘোষ বলেন, মৌখিক বয়ান ছাড়া ইডি-র হাতে কোনও তথ্য প্রমাণ নেই। টাকা পাচারের যে অভিযোগ তারও কোনও প্রমাণ নেই। এক সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে এই অভিযোগ। এরপরেই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। ২০ হাজার কোটির রেশন দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়? আগামী ৫ জুলাই আদালতের প্রশ্নের উত্তর দেবে ইডি।