ব্যুরো নিউজ, ২৫ ফেব্রুয়ারি:পাকিস্তানে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বে ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড দুটি দেশই শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। সোমবার, রাচিন রবীন্দ্রর দাপুটে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে ভারত সেমিফাইনালে উঠতে সফল হয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ড বাংলাদেশকে হারানোর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ চারে পৌঁছে যায়। এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ এবং আয়োজক দেশ পাকিস্তান টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে।বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২৩৬/৯ রান তোলে। এরপর, নিউ জ়িল্যান্ড মাত্র ৪৬.১ ওভারেই সেই রান তাড়া করে ম্যাচটি জিতে নেয়।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন শঙ্কা: রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে আতঙ্কের মুহূর্ত
পয়েন্ট সমান
বর্তমানে ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ডের পয়েন্ট সমান, আর দুই দলই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। গ্রুপের শীর্ষ দুই দল হিসেবেই তারা শেষ করবে। তাই পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচে যে-ই জিতুক, তার পয়েন্ট চার হবে, যা তাদের সেমিফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দেয়।রাচিন রবীন্দ্রর খেলা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজ়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে কপালে চোট পেয়ে ছিলেন। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে এসে শতরান করেন তিনি। এই শতরান তার আইসিসি প্রতিযোগিতায় ১১ ম্যাচে চতুর্থ শতরান, যা নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে অভূতপূর্ব।
২০২৩ বিশ্বকাপে তিনটি শতরান করার পর, রাচিন এবার আরও একবার নিজের কৃতিত্ব দেখালেন।রাচিন রবীন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন নিউ জ়িল্যান্ডের ওয়েলিংটনে, যেখানে তার বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন, এবং মা দীপা গৃহকর্ত্রী। ১৯৯০-এর দশকে রবি পরিবারসহ বেঙ্গালুরু থেকে ওয়েলিংটনে চলে আসেন এবং হাট হক্স ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। রাচিনকে ক্রিকেট খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে তার বাবা-মায়ের বড় ভূমিকা ছিল। রাচিন দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন এবং এখন তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলা হচ্ছে তার।
রিচা ঘোষের রান-আউট ধোনির সেই মুহূর্ত মনে করিয়ে দিল
সোমবার রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ সমস্যায় পড়েছিল। তবে, নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিং তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেনি। বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই কিছু উইকেট হারালেও, নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকের আলি কিছুটা হাল ধরেন। তবুও, মিডল অর্ডারে সমস্যা হওয়ায় তারা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি এবং ২৩৬ রানেই শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস।অপর দিকে, রাচিন এবং তার সঙ্গীরা ম্যাচটি দ্রুত সমাপ্ত করে দেয় এবং নিউ জ়িল্যান্ড একেবারে কম সময়ে ২৩৬ রান পূর্ণ করে ম্যাচ জয় লাভ করে।