ব্যুরো নিউজ ৫ আগস্ট ২০২৫ : ঢাকুরিয়া লেকের কাছে একদল মুসলিম তরুণীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ওই মহিলা দাবি করেছেন, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে মুসলিম তরুণীদের একটি দল জোরে জোরে ‘আল্লাহ হু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছিল। যখন তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা এই ধরনের ধর্মীয় স্লোগানে আপত্তি জানান, তখন বচসা শুরু হয়। মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁদের জোর করে ‘আল্লাহ হু আকবর’ বলতে বাধ্য করা হয়। এই ঘটনার পরেই মুসলিম তরুণীরা পুরুষদের ডেকে এনে তাঁদের ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ। বঙ্গ বিজেপির এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে এই অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ
বঙ্গ বিজেপি তাদের পোস্টে অভিযোগ করেছে যে, যখন হিন্দু মহিলারা বলেন, “এটি একটি পাবলিক প্লেস, ধর্মীয় স্থান নয়। আপনারা আমাদের জোর করতে পারেন না, আমরা হিন্দু,” তখনই তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা সম্পর্কে তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) মীরাজ খালিদ ইন্ডিয়া টুডেকে জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্ত বা অভিযোগকারিণী কাউকেই এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি। অভিযোগকারিণীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে, যাতে তাঁর থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তবে পুলিশ মামলা রুজু করবে বলে জানিয়েছে।
জনগণের ক্ষোভ এবং অন্যান্য বিষয়
তবে পুলিশের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভও লক্ষ্য করা গেছে, অনেকে পুলিশকে ‘দলদাস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অভিযোগ উঠেছে যে, বেশ কিছু থানার দেয়ালে শাসক দলের রাজনৈতিক পোস্টার দেখা গেছে।
এছাড়াও, কলকাতার বিভিন্ন পার্ক এবং মাঠের সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কাঠামো গড়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, জনগণের সম্পত্তিতে কীভাবে কোনো বিশেষ সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় কাঠামো তৈরি করতে পারে। এই বিষয়ে বাম আমল বা তৃণমূল আমল, কোনো প্রশাসনের কাছেই কোনো স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি। রবীন্দ্র সরোবর এবং পার্ক সার্কাস মাঠের মতো অনেক স্থান তাদের ‘বাঙালি’ অস্তিত্ব হারাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এই সমস্ত পার্কে গেলেই বোঝা যায় যে ‘বাঙালিয়ানা’ এবং ‘সেকূলারিজম’ , ঘোষিত বা অঘোষিত শরিয়ত আইনের আওতায় পড়ে না।