ব্যুরো নিউজ, ২২ জানুয়ারি:ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের পরপরই কোয়াড সদস্য দেশগুলি, অর্থাৎ ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রীদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এককথায় চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। যদিও সরাসরি চিনের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবুও কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তিপ্রয়োগ কিংবা একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তা একেবারে সহ্য করা হবে না।
দৃঢ় পদক্ষেপ
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বলেন, “এই বৈঠক থেকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, কোয়াড এই অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে বিশ্বের মঙ্গলের জন্য কাজ করবে।” তিনি আরও বলেন, “এটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম বৈদেশিক নীতির পদক্ষেপ, যেখানে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি জানান, কোয়াডের সদস্য দেশগুলি সম্মিলিতভাবে আলোচনা করেছে যাতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলটি মুক্ত, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধশালী থাকে।জয়শংকর উল্লেখ করেন যে, কোয়াডের বৈঠকে সমন্বয় আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সবাই একমত হয়েছেন যে একসঙ্গে কাজ করে বৃহত্তর ভাবনাচিন্তা করতে হবে। ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক নীতিতে একযোগে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সুস্বাদু নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশঃ ঘরেই তৈরি করুন সহজে। রইল রেসিপি
মার্কিন বিদেশ সচিবের প্রথম বহুপাক্ষিক বৈঠক হিসেবে কোয়াড বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে। কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা আগামী দিনগুলিতে কোয়াডের কার্যক্রম আরও এগিয়ে নিতে প্রস্তুত এবং ভারতের উদ্যোগে ২০২৫ সালে পরবর্তী কোয়াড নেতাদের সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক থেকে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, কোয়াড গঠন করে আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে চিনের আগ্রাসন রুখতে প্রস্তুত রয়েছে এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে একত্রে কাজ করবে।