ব্যুরো নিউজ, ২৪ জুলাই: দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার এবারও রীতিমতো চমক দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজো মানেই প্যান্ডেল হপিং থেকে শুরু করে দেদার খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা থেকে শুরু করে বেড়াতে যাওয়া, সারা বছর ধরে আপামর বাঙালি এই দুর্গোৎসবের অপেক্ষাতেই থাকে। আগের বছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রাম মন্দির করে দেশজুড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। মন্ডপ উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা এবং কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
নিজেদের ব্যর্থতার লজ্জা ঢাকতে কিছু দল সংসদে হৈচৈ করছে, কড়া জবাব নরেন্দ্র মোদীর
পুজো অনুদান নিতে চাইলো না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার
এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার সমস্ত পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রাকপুজো বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এবার রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত ক্লাবগুলিকে পুজো অনুদান আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। গতবার যেখানে ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল, এবার আরো ১৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ মাসুল এবং দমকল ক্ষেত্রেও ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের দেওয়া এই ৮৫ হাজার টাকার অনুদান নেবে না বলেই ঘোষণা করেছে।
এই বাজারেও জলের দরে মোবাইল রিচার্জ করুন, সস্তার প্ল্যান জেনে নিন
গতবার রাম মন্দিরের পর এবার আমেরিকার লাস ভেগাসের স্ফিয়ার থিম করেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি। এবার মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান প্রসঙ্গে পুজোর মূল উদ্যোক্তা সজল ঘোষ বলেন, রাজ্য সরকার চাকরি দিতে পারছে না, ডিএ দিচ্ছে না। আর এই অনুদান দিয়ে শুধু ভোটে জেতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই মানবতার কারণেই এই টাকা তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। সজল এই প্রসঙ্গে আরো বলেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই উনি পুজো নিয়ে ভেবেছেন সেই কারণে। যখন অনুদানের টাকা নিয়েছিলাম তখন ১০ হাজার টাকা ছিল। এখন সরকার চাকরি দিতে পারছে না। এই টাকায় অনেকের চাকরি এবং বেতন দেওয়া যেত বলেই মন্তব্য করেন সজল ঘোষ।